সংবাদদাতা, পূর্ব বর্ধমান:- গহনা চুরির অভিযোগ স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ি লোকজনদের বিরুদ্ধে। ভিন জেলা থেকে গহনা উদ্ধারে পুলিশ পৌঁছালো পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের কালীপাহাড়ি গ্রামে অভিযুক্তদের বাড়িতে।
ফিরোজা খান (দে ) নামে ওই বধূর বাপের বাড়ি কলকাতার গড়িয়াহাট এলাকায়। বছর দু'য়েক আগে ফেসবুকে আলাপ ভাতারের কালিপাহাড়ি গ্রামের বাসিন্দা কৃষানু দে- র সঙ্গে। বধূর অভিযোগ কলকাতার কালীঘাট মন্দিরে হিন্দু মতে কৃষাণুর সঙ্গে তার বিবাহ হয়। দু'জন ভিন্ন ধর্মের কারণে সম্পর্ক মেনে নেননি শ্বশুর বাড়ির লোকজন। ভাড়া বাড়িতে কয়েক মাস কৃষানুর সঙ্গে সংসার করেছিল ফিরোজা। ভাড়া বাড়িতে থাকার সময় কৃষানুর আত্মীয়-স্বজনরা আসা যাওয়া করত।
২০২১ সালে ডিসেম্বর মাসে হঠাৎ কৃষ্ণানুর পরিবারের সদস্যরা তাদের বাড়িতে গিয়েছিলেন। ফিরোজার অনুপস্থিতিতে আলমারি ভেঙ্গে গহনা সামগ্রী ও বেশ কিছু নগদ অর্থ নিয়ে চম্পট দেয় তারা বলে অভিযোগ । এরপরই ফিরোজা খান (দে)নামে নরেন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ি লোকজনদের বিরুদ্ধে।
সংশ্লিষ্ট ধারাই মামলার রুজু করে পুলিশ।বুধবার ওই বধূ সহ নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ ভাতার থানার পুলিশের সহযোগিতায় ভাতারের কালীপাহাড়ি গ্রামে গহনা উদ্ধারে যান। তবে এদিন পুলিশকে খালি হাতে ফিরতে হয়।ওই বধূর শ্বশুরবাড়ি থেকে গহনা উদ্ধার হয়নি বলে জানা গেছে।ওই বধূর দাবি, তার বিরুদ্ধে যে অন্যায় হয়েছে আইনি আশ্রয় নিয়ে তিনি লড়াই চালিয়ে যাবেন। তবে তার স্বামী কৃষাণু দে যদি ফিরে আসে তার সঙ্গে সংসার করতেও রাজি তিনি।