সংবাদদাতা,পূর্ব বর্ধমান:- বর্ধমান শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের আনন্দপল্লীতে স্বামী স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো শনিবার। স্বামীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় বাড়ি থেকে। আর বিছানায় মৃত অবস্থায় পড়েছিল স্ত্রী। বর্ধমান থানার পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজের পুলিশ মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। মৃতদের নাম অনুপ ঘোষ(৬৪) এবং পার্বতী ঘোষ(৫৭)।
স্ত্রীর মুখ দিয়ে লালা বের হয়েছিল। তবে কিভাবে এই ঘটনা ঘটল সেই বিষয় নিয়ে পরিবারের লোকজন সঠিক কিছু জানাতে পারেননি। মৃতের ছেলে চন্দ্রচূড় ঘোষ বলেন, জায়গা জমি নিয়ে বেশকয়েকদিন ধরে বাবা মায়ের মধ্যে অশান্তি চলছিল। তার জেরেই হয়ত এই ঘটনা ঘটতে পারে। একই দাবী করেন পুত্র বধূ সুস্মিতা ঘোষ। তিনি বলেন, সকালে না ওঠায় তার ছেলে দাদুকে ডাকতে গিয়ে দেখে দাদু ঘরের ভিতরে ঝুলছে।
ছেলে ও বৌমার সঙ্গে শ্বশুর শাশুড়ীর প্রায় অশান্তি হত বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা দেবব্রত চ্যাটার্জী।বেশ কয়েকবার তারা সবাইকে নিয়ে বসে বিবাদ মেটানোর চেষ্টা করেন।তবে এখন ছেলে বৌমা আলাদা থাকতো।
অনুপ ঘোষ বর্ধমান শহরের লোক কলোনীতে একটি সবজীর দোকান চালাতেন। ছেলে চন্দ্রচূড় ঘোষ শহরের বীরহাটা এলাকায় একটি ওষুধের দোকানে কাজ করেন।
এখানে উল্লেখ্য মাস খানেক আগে বর্ধমানের নতুন পল্লী এলাকায় বাড়ি থেকে মা ও দুই মেয়ের মৃত দেহ উদ্ধার হয়।তারা তিনজনেই বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হন।