সংবাদদাতা,পূর্ব বর্ধমান:- শিক্ষা একটি জীবন পরিবর্তনের সূচক। সাধারণ মানুষ কীভাবে জীবনের সমস্যা সমাধান করেন তা থেকেও শিক্ষা নিতে হবে। শুক্রবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি ডি আনন্দ বোস কথাগুলি বলেন।
এদিনের সমাবর্তনে দীক্ষান্ত ভাষণ দেন অমিতাভ ঘোষ।এবারের সমাবর্তনে সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ; সঙ্গীতজ্ঞ পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীকে সাম্মানিক ডি লিট দেওয়া অর্পণ করা হয়। ডি এস সি দেওয়া হয় বিজ্ঞানী শুভাশিস চৌধুরী ও অধ্যাপক সুমন কুমার ধরকে।
এদিন রাজ্যপাল তার ভাষণে আরো বলেন; জীবন এবং প্রকৃতিই শ্রেষ্ঠ শিক্ষক।জ্ঞানকে কার্যক্রমে রূপান্তরিত করতে হবে।কী করতে হবে ; কী করা যাবে না এবং কখন করতে হবে সেটাই বড় কথা।
এদিন সমাবর্তন অনুষ্ঠানের শেষে রাজ্যপাল মিলিত হলেন কৃষকদের সঙ্গে। বৃহস্পতিবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৮ তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সি ডি আনন্দ বোস। সমাবর্তন অনুষ্ঠান যোগদিতে বর্ধমান এসে তিনি কৃষকদের সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছা প্রকাশ করায় তাকে বর্ধমান ২ নম্বর ব্লকের বড়শুলে কৃষিদপ্তরে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয় কৃষিদপ্তরের পক্ষ থেকে। তিনি সেখানে এলাকার ৩৫ জন কৃষকদের সঙ্গে মিলিত হন।
রাজ্যপাল চাষীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বলেন, তিনিও কৃষক পরিবারের সন্তান। তিনি বহুদিন কৃষিদপ্তরের দায়িত্বভার সামলেছেন।কোভিড সময়কালে চাষীরা যেভাবে ফসল উৎপাদন করেছেন তারজন্য তিনি তাদের ধন্যবাদ দেন।
রাজ্যপাল আধুনিক কৃষি ব্যবস্থার উপর জোর দেন।ইণ্ট্রিগ্রেডেট ফার্মিংয়ের কৃষকদের উৎসাহিত করে বলেন, কম জায়গায় ও কম জলে কিভাবে চাষ করতে হবে তা জানা দরকার।পাশাপাশি রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে জৈব সার কৃষিতে প্রয়োগে জোর দেন।
চেন্নাই ও হায়দ্রাবাদে এই ধরনের চাষ করা হচ্ছে। যদি এখানকার চাষীরা আগ্রহী হন তাদের সেখানে নিয়ে গিয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান রাজ্যপাল।
বর্ধমান ২ নম্বর ব্লকের বিডিও সুবর্ণা মজুমদার বলেন,রাজ্যপাল চাষীদের সঙ্গে সাক্ষাৎয়ের আগ্রহ প্রকাশ করায় জাতীয় সড়কের ধারে বড়শুলে ব্যবস্থা করা হয়।এখনে তিনি চাষীদের সঙ্গে কথা বলে চাষের পদ্ধতি জানার চেষ্টা করেন।প্রয়োজনে চাষীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার বিষয়ে সাহায্যের কথা বলেন।
জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা, পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন সহ কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন বড়শুলে। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে খুশী এলাকার চাষীরা। জেলা শস্য সুরক্ষা আধিকারিক বিশ্বজিৎ মণ্ডল বলেন, চাষীদের সঙ্গে কথা বলে খুশী হয়েছেন রাজ্যপাল।