সংবাদদাতা, রানীগঞ্জ :- ইসিএলের পক্ষ থেকে প্রায়ই অভিযোগ হয়, তাদের পরিত্যাক্ত জমিতে অবৈধ দখল বা জমির লেনদেন করা হয় দালালদের মাধ্যমে এবং লোকজন সেই জমি কিনে বাড়ি বা দোকানপাট তৈরি করে।
এবার ইসিএল এরই ধারাবাহিকতায় আজ কুনুস্টোরিয়া এলাকার কর্মকর্তারা এবং মহাবীর কোলিয়ারি এলাকায় প্রায় ৩০ বিঘা ইসিএল জমি পরিমাপ করে ইসিএল লেখা স্তম্ভ পুঁতে দেয়, এই সময় তারা ইসিএল জমির তথ্যও পায় তবে যেখানেই অবৈধ দখল হয়েছে বা ইসিএল জমি বেআইনিভাবে বিক্রি হয়েছে, সেখানেও পিলার স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে ইসিএল জমিগুলি বেআইনিভাবে বিক্রি করা হয়েছে তা চিহ্নিত করা হয়েছে৷ ইসিএল এর ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের নিরঙ্কারি কলোনি এলাকায় ইসিএল এর তরফে এমন অভিযান চালানো হয় এ দিন ।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান আসানসোলের স্থানীয় কাউন্সিলর দিব্যেন্দু ভগত ইসিএল আধিকারিকদের সাথে এই বিষয়ে কথা বলেন ৷ তিনি বলেন, বহু বছর ধরে যারা এই এলাকায় বাস করছেন তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে ই সি এল কে। তিনি বলেন রাজ্য সরকার চান ধস কবলিত এলাকাগুলি থেকে মানুষদের অবিলম্বে পুনর্বাসন দিতে কিন্তু কেন্দ্র সরকার পুনর্বাসনের জন্য বরাদ্দ টাকা না দেওয়াই পুনর্বাসনের ব্যাপারটি আটকে রয়েছে ।
তবে এ বিষয়ে রাণীগঞ্জ বিজেপি মন্ডল ১ এর সভাপতি দেব জিৎ খান বলেন, ইসিএল তার কাজ করছে, যদি ইসিএল-এর জমিতে কোনও অবৈধ দখল আছে, তাহলে ইসিএল তা অপসারণের কাজ করবে৷কিন্তু তিনি অভিযোগ করেন যে 'স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা, কাউন্সিলর জমি মাফিয়াদের সাথে যোগসাজশে ইসিএলের জমিগুলি বেআইনিভাবে বিক্রি করে মোটা টাকা কামিয়েছে, এখন কুমিরের কান্না কাঁদছেন তৃণমূল নেতারা ৷ কেন্দ্র সরকার পুনর্বাসনের কথা ভাবছে এবং তার জন্য ব্যবস্থাও করা হয়েছে। কিন্তু তৃণমূল নেতারা ও এখন কাটমানি খাওয়ার প্রচেষ্টায় রয়েছেন যেটা বিজেপি বা কেন্দ্র সরকার কখনো হতে দেবে না' বলে জানান বিজেপি মন্ডল ১ এর সভাপতি দেব জিৎ খান।