সংবাদদাতা ,পূর্ব বর্ধমান:- ফের সক্রিয় দালালচক্র বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ।১০০ টাকার বিনিময়ে ঘুরপথে সরকারী হাসপাতাল থেকে করিয়ে দেওয়া হচ্ছিলো ইউএসজি।রোগীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ফাঁদ পাতে পুলিশ।তাতেই মেলে সাফল্য। হাতেনাতে টাকা নেওয়ার সময় অভিযুক্তকে ধরে ফেলে পুলিশ।তাকে বর্ধমান থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
![]() |
বিজ্ঞাপন:- AIS 140 GPS TRACKER এর ডিলারশিপ এর জন্য যোগাযোগ করুন :- 79037 42316 / 62949 76213 |
মঙ্গলবার সকালে পূর্ববর্ধমানের ভিটা শোনপুর থেকে মেয়েকে আউটডোরে দেখাতে নিয়ে যান তুলা ধর। তাঁর মেয়ে সোমার দিন কয়েক থেকেই পেটে যন্ত্রণা হচ্ছে। আউটডোরে দেখানোর পর চিকিৎসকরা ইউ এস জি করানোর পরামর্শ দেন। সেই মততুলা দেবী হাসপাতালের ছ নম্বর কাউন্টারে যান ইউ এস জিকাগজপত্র করাতে। কাউন্টারে তাঁকে এক সপ্তাহ পর ইউএস জি করানোর জন্য তারিখ দেওয়া হয়।
কিন্তু, যন্ত্রণায় ছটছট করা বছর দশের মেয়ের ইউ এস জি করাতে কেন দেরি হবে সেই নিয়ে প্রশ্ন করেন তুলাদেবী। তাঁর দাবি,সেই সময় ওই কাউন্টারের বাইরে একজন তাঁর কাছে ১০০ টাকা দাবি করেন। ওই টাকার বিনিময়েমঙ্গলবারই ইউ এস জি করিয়ে দেওয়া হবে বলে ওই ব্যক্তি আশ্বাস দেন বলে অভিযোগ তুলাদেবীর। কিন্তু, তুলাদেবীর কাছে এত টাকস না থাকায় তিনি হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পে যোগাযোগ করেন।
হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আব্দুল নাসির খান ওই ‘দালাল’কে ধরার জন্য ফাঁদ পাতেন। তিনি নিজের একটি ১০০ টাকার নোট নাম লিখে কাগজে মুড়িয়ে তুলা দেবীকে দেন। ওই টাকা দালালের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথাও বলেন। বিষয়টি নজরে রাখেন পুলিশ ক্যাম্পের কর্মীরা। টাকা নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই হাতেনাতে ধরা হয় ওই ব্যক্তিকে। উদ্ধারহয় হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জের নাম লেখা নোট।সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বর্ধমান থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়। ধৃত ব্যক্তির নাম রবিউল ইসলাম মল্লিক। বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের গলসির পুরসায়।
হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি । পুলিশ তাঁকে আটক করেছে। কোন কর্মী এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কিনা সেই বিষয়ে জানান জন্য তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।ধৃত রবিউল ইসলাম মল্লিক হাসপাতালে বেসরকারি সরবরাহকারী সংস্থার কর্মী । তাঁর সঙ্গে ইউ এস জি বিভাগের কোন কর্মী এই দলালা চক্রে যুক্ত কিনা সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন রোগীর পরিজনরা।