সংবাদদাতা,পূর্ব বর্ধমান:- 'বিচার ব্যবস্থার অনেক পরিবর্তন দরকার, শিলাদিত্যের পরিবারের মুক্তি পাবার জন্য লড়াই জারি থাকবে।' শনিবার বর্ধমানে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই কথাগুলি বললেন অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র। তিনি আরও বলেন, 'আমার কথা বলার অধিকারকে কেড়ে নেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে দুস্কৃতিদের সঙ্গে নিয়ে আমার বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা করেছিল।বেআইনি পদক্ষেপ করে মামলাকে দীর্ঘায়িত করেছিল যাতে কোনভাবেই মামলার সুরাহা বা নিস্পত্তি না হয়। উচ্চ আদালতে জজকোর্টে আবেদন করার ভিত্তিতে মামলার নিস্পত্তি হতে চলেছে।'
তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগত ভাবে ফৌজদারী মামলায় নিস্কৃতি পেলেও রাজ্যবাসী যে পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে সেখান থেকে নিস্কৃতি পাচ্ছেনা। তিনি বলেন, মা মাটি মানুষের সময়কালে কোন প্রশ্ন বা সমালোচনা করা যাবে না, সরকারকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করা যাবে না। যেটা ভারতের সংবিধানের প্রনীত অধিকার। রাজ্য সরকারের পুলিশ বাহিনী দুস্কৃতিদের সঙ্গে নিয়ে রাজ্য ব্যাপি এই পদক্ষেপ কায়েম রেখেছে।তার ফলে শিলাদিত্য চৌধুরী, সানিয়া ভরদ্বাজ, সুদীপ্ত গুপ্তের মতো ঘটনা ঘটে, রাজ্যে খুন হয়। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে সাধারণ মানুষের পক্ষে লড়াই জারি রাখতে হবে।
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, আমি কার্টুন আঁকিনি। শেয়ার করেছিলাম। আগামী দিনেও শেয়ার করবো। এনিয়ে কোন দ্বিধা দ্বন্দ্ব থাকবে না। কার্টুন সাংস্কৃতিক জগতের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। অনেক জটিল বিষয় অতিসংক্ষেপে মানুষের কাছে তুলে ধরা যায়। যারা পড়াশোনা জানে না তারাও সহজে বুঝতে পারে। এই জিনিস দীর্ঘকাল ধরে চলে আসছে, এ জিনিস থাকবে। একে আক্রমণ করে থামানো যাবে না।
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে তিনি জানান, পঞ্চায়েত সুস্থ ভাবে না করার জন্য শাসকদল দুস্কৃতিদের কাজে লাগাবে। রাজ্যবাসী বুঝতে পেড়েছেন পঞ্চায়েত রক্ষাকরার জন্য চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত কর্মচারী সমিতি সমূহের যৌথ কমিটির একাদশ রাজ্য সম্মেলনের প্রকাশ্য সমাবেশে যোগ দিতে আজ বর্ধমানে আসেন অম্বিকেশ মহাপাত্র। বর্ধমানের নীলপুর মোড়ে অনুষ্ঠিত এই সভায় অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সারা ভারত কৃষক সভার নেতা হান্নান মোল্লা, প্রাক্তন সাংসদ সৈদুল হক প্রমুখ।