তনুশ্রী চৌধুরী,কাঁকসা:-বাংলা আবাস যোজনা হলে প্রধানমন্ত্রী কষ্ট হয়। গ্রামে একটি সড়ক নির্মাণ হলে প্রধানমন্ত্রীর তাতে সমস্যা কোথায়।
সোমবার বিকালে কাঁকসার বাসুদেবপুরে এসে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূলের রাজ্য যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষ।
তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বদলে যদি বাংলা আবাস যোজনা করা হয় তাতে প্রধানমন্ত্রীর ছবি ঘরের বাইরে ঝোলাতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে বাংলার গ্রামে গঞ্জে বাড়ি রাস্তাঘাটের থেকেও বেশি গুরুত্ব তার ছবি।'যেদিন মানুষ পেটের ক্ষুধার থেকেও বেশি আত্মা থেকে ক্ষুধার্ত থাকবেন সেদিন সবার আগে নরেন্দ্র মোদির গদি খাবেন সাধারণ মানুষ।
সোমবার কাঁকসার বাসুদেবপুরে তৃণমূলের শহীদ সভায় যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ও প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন সায়নি ঘোষ।
তিনি বলেন টিভির পর্দায় সন্ধ্যা হলেই বাম নেতারা সেজে গুজে অনেক কথা বলে।
তারা বলেন রাজ্যে মহিলারা কেউ সুরক্ষিত নেই।সবাই নাকি নিরাপত্তা হীনতায় ভোগেন। যার সব দোষ গিয়ে পড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে।
কিন্তু বাম জামানায় যে ভাবে বামেরা তাদের শাসন চালাচ্ছিলো যদি আজকের মত ডিজিটাল মিডিয়া বা,হাজার হাজার সাংবাদিক কিংবা শয়ে শয়ে চ্যানেল থাকতো তাহলে ৩৪ বছর আর তাদের রাজত্ব করতে হতো না
সাড়ে ৩ বছরেই তাদের জামানত জব্দ হয়ে যেতো। বাম জামানায় বামেরা বাড়িতে বসে ভালো ভালো খাবার খেতেন আর গ্রামের মানুষ,গ্রামের মায়েরা বোনেরা পিঁপড়ের ডিম খেতেন। সেই সময় মহিলারা ভালো ছিলেন নাকি আজকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারে তারা ভালো আছেন সেই বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
তিনি বলেন বিজেপি শাসিত রাজ্যে মহিলারা হলেন পা পোষের মত।
বাড়িতেই তাদের থাকতে হয়।গেটের বাইরে বেরোনোর তাদের অধিকার থেকে না।
কিন্তু বাংলায় মহিলারা কতটা সুখে ও আনন্দে এবং নিরাপদে আছে সেটা বাংলার মহিলারা ভালো করে জানে। তিনি বলেন বাংলার মানুষের গর্ব হওয়া উচিৎ, বাংলার মানুষ মমতা বন্দোপাধ্যকে তৈরি করেছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের একমাত্র মহিলা মুখমন্ত্রী যাকে বাংলারঅনুষ তৈরি করেছেন।
বিধানসভার আগে রাজ্যে অনেক বিজেবি নেতা রাজ্যে এসে বলতেন বাংলা কে সোনার বাংলা বানাবেন।
কিন্তু ভোট মিতে গেলেই তাদের আর দেখা পাওয়া যায় না। যখন বাংলায় দুর্যোগ আসবে তখন বাংলার মানুষকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সামলাবেন।
গত বাম জামানায় ১৯৯৮ সালে কাঁকসার বাসুদেবপুর গ্রামে ৪জন তৃণমূল কর্মীকে খুন করা হয়। তৎকালীন বাম সরকারে সিপিআইএম আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে তৃণমূল।
গোটা গ্রাম আগুনে ভস্বীভূত হয়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ১৯৯৮ সাল থেকে কাঁকসার বাসুদেবপুর গ্রামে তৃণমূলের শহীদ দিবস অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।এবছরও
সোমবার কাঁকসার বাসুদেবপুর তৃণমূলের শহীদ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী তথা দুর্গাপুর পূর্বের বিধায়ক প্রদীপ মজুমদার,তৃণমূলের রাজ্য যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষ,কাঁকসা ব্লকের সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য্য, যুব সভাপতি কুলদীপ সরকার,তৃণমূল নেতা পল্লব বন্দোপাধ্যায়, দেবদাস বক্সী, অশোক মুখার্জি,পশ্চিম বর্ধমান জেলার কিষান ক্ষেত মজদুর সংগঠনের জেলা সভাপতি জয়ব্রত বৈদ্য,তৃণমূল নেতা উত্তম মুখার্জি,গলসির বিধায়ক নেপাল ঘরুই, দখিনবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার চেয়ারম্যান সুভাষ মন্ডল সহ অন্যান্যরা।
এদিন শহীদ শঙ্কর ঘোষ,লক্ষী নারায়ণ ঘোষ, নব গোপাল ডোম ও অমর গোস্বামীর মূর্তিতে মাল্যদান করে তাদের শ্রদ্ধা জানান সকলে।
পাশাপাশি এদিন বাসুদেবপুর গ্রামে সভা অনুষ্ঠিত হয়।