সংবাদদাতা , পূর্ব বর্ধামান:- প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে যেকোনো ধরনের অভাব--অভিযোগ এবার জেলার প্রতিটি প্রশাসনিক দপ্তরেরই জানানো যাবে।সেই উদ্দেশ্যেই পূর্ববর্ধমানের জেলাশাসক সহ জেলার প্রতিটি প্রশাসনিক দপ্তরের সামনেই বসানো হল অভিযোগ বক্স।
জেলাশাসক প্রিয়াংকা সিংলা জানিয়েছেন,ইতিমধ্যেই জেলায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা সংক্রান্ত প্রায় ৭৩৭ টি অভিযোগ জমা পড়েছে।যার বেশীরভাগটাই যোজনায় অন্তর্ভুক্তকরণের।এছাড়া অন্যান্য অভিযোগ গুলোও গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।জেলায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় প্রায় ২ লক্ষ ৩০ হাজার নাম নথিভুক্ত আছে।যে তালিকা আবার নতুন করে প্রশাসনিকভাবে যাচাই করার কাজ চলছে।মূলত বিডিও ও এসডিও স্তরে দু'বার যাচাইয়ের পর ফের তৃতীয়স্তর হিসাবে এডিএম স্তরে সেই তালিকা যাচাইয়ের পরই ফের নতুন তালিকা তৈরী করা হবে।
রাজ্যজুড়ে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে দুর্নীতির ও স্বজনপোষণের অভিযোগের শেষ নেয়।এবং তা নিয়ে শাসক-বিরোধী তরজাও কম হচ্ছে না ।এরই মাঝে জেলাপ্রশাসনের তরফে অভিযোগ বক্স বসানোকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে ফের রাজনৈতিক চাপানউতর।
জেলা বিজেপির সহসভাপতি সৌম্যরাজ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,'এরপর এত অভিযোগ প্রতিদিন জমা পড়বে,প্রশাসনের আধিকারিকরা নাজেহাল হবেন।কারণ গরিব মানুষজনের নাম আবাস যোজনার তালিকায় নেই। যারা প্রকৃত দাবীদার তাদের নাম শাসক দলের নেতারা বাদ দিয়ে নিজেদের নাম তালিকায় নথিভুক্ত করেছেন।' এই দাবী আমরা প্রথম থেকেই করে আসছি।দুর্নীতি ও স্বজনপোষণ নিয়ে আমরা অভিযোগ করেছি বারে বারে।তখন তৃণমূল কান দেয় নি।এখন দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে তাই বক্স করছে প্রশাসনিক দপ্তরে। কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না বলে এতদিন মিথ্যে অভিযোগ করছিল রাজ্য সরকার ও তৃণমূল। এখন তা প্রমাণিত হল।আইসিডিএস কর্মী সার্ভে করতে যেতে ভয় পাচ্ছেন।গেলে হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। তৃণমূল নেতারা তাদের আক্রমণ করছে।হুমকি দিচ্ছে।
অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস। তিনি বলেন,যখন সার্ভে হয়েছিল তখন তার পাকা বাড়ি ছিল না।এখন ২০২২ সালে আবাস যোজনার তালিকায় তার নাম আছে।এতে বেনিয়মের কি আছে।প্রশাসন তদন্ত করে দেখে তবেই তো নাম থাকবে।অনেকেই প্রশাসনের কাছে গিয়ে নাম কাটাচ্ছেন।