সোমনাথ মুখার্জী, পান্ডবেশ্বর :- মঙ্গলবার মহা ধুমধামের সঙ্গে ঢাক ঢোল কাঁসর বাঁধটি যোগে শুরু হল পান্ডবেশ্বর বিধানসভার বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর প্রতিষ্ঠিত মা বাকলেশ্বরী কপালমালিকার পূজা ।
১০৮টি পিতলের বারি নিয়ে ১০৮ জন কুমারী মেয়ে ও আরও প্রায় ৩০০ জন মহিলা বারি করে দীর্ঘ তিন কিলোমিটার অতিক্রম করে নবগ্রাম পঞ্চায়েত কুমারডিহির সায়ের নামক পবিত্র পুকুর থেকে জল নিয়ে পৌঁছায় বাকি বাকলেশ্বরী মায়ের মন্দিরে।
সেই বারির পবিত্র জল দিয়েই শুরু মায়ের পূজা অর্চনা । এবং সারা রাত্রি ব্যাপী এই পূজা এবং যোগ্য অর্চনা চলে। বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর প্রতিষ্ঠিত এই পুজো ঘিরে এলাকায় আনন্দ মেলার পরিবেশ । মা কপাল মালিকার এই পুজো ঘিরে বেশ কয়েক দিন এলাকায় থাকছে মেলার পরিবেশ।
কয়লা অঞ্চলের অধিষ্ঠাত্রী দেবী মা মা কপাল মালিকার কথিত আছে,পাণ্ডবেশ্বরে ভালুকা গ্রামের আদিবাসীরা এই পূজার সূত্রপাত করেন । তখনকার দিনে ডাকাতদের ভয়ে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষরা আশ্রয় নেয় উখরা বাঙ্কোলার সেনগুপ্ত পরিবারের জমিদার অঞ্চলে। সেই পুরাতন যুগ থেকে আধুনিক যুগে মায়ের রূপ আদিবাসী সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
প্রথমে ভালুকা অঞ্চলে তারা কয়েকটি পাথর পায়,তারপর মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়ে মায়ের আবির্ভাব।অতঃপর কয়লা অঞ্চলের প্রচুর ভক্তের সহযোগিতায় এবং বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর প্রচেষ্টা ও তাঁর তত্ত্বাবধানে মায়ের মন্দিরের আধুনিক রূপ নেয় ।
এই পূজা ঘিরে রয়েছে নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ পুজো অর্চনা।এই অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ পঁচিশে ডিসেম্বর ম্যারাথনের মাধ্যমে শুরু হয় । একত্রিশ ডিসেম্বর অবধি নরনারায়ণ সেবার মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানের মহা সমাপ্তি ঘটবে ।