সোমনাথ মুখার্জী ,অন্ডাল :-বৃহস্পতিবার ফের অন্ডালের কেন্দা এরিয়ার সিদুলি খোলা মুখ খনিতে বিক্ষোভ সিদুলি বাঁচাও কমিটির। বিক্ষোভের জলে বন্ধ হয়ে গেল খনির খননের কাজ ।
সিদুলি বাঁচাও কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন খান্দরা পঞ্চায়েত প্রধান শ্যামলেন্দু অধিকারী,সিদুলি বাঁচাও সমিতির সভাপতি সুমিত চ্যাটার্জী ও অন্যান্য নেতৃত্ব ।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, চলতি বছরের অক্টোবর মাসের ২০ তারিখ ইসিএল আধিকারিক দের সঙ্গে পঞ্চায়েত প্রশাসন ও সিদুলি বাঁচাও সমিতির বৈঠক হয়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, এলাকায় খনির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘরের পুনর্বাসন দিতে হবে, এছাড়াও খনিতে কাজের জন্য এলাকার বেকার যুবকদের প্রাধান্য দিতে হবে।
ত্রিপাক্ষিক এই বৈঠকে সহ-সম্মতিক্রমে সিদুলি বাঁচাও সমিতির দাবি দাওয়া মেনে নেওয়া হয় বলে দাবি সমিতির । কিন্তু এতগুলো দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও সমিতির দাবি মত কথা রাখেনি ইসিএল কর্তৃপক্ষ বলে জানান বিক্ষোভকারীরা ।
সিদুলি বাঁচাও কমিটির সভাপতি সুমিত চ্যাটার্জি জানান, ইসিএল কর্তৃপক্ষ মন-মর্জি মাফিক লোক নিয়োগ করছেন এলাকার বেকার যুবকরা কাজ পাচ্ছেন না । এছাড়াও খনির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর সার্ভে দুদিন করার পরই বন্ধ করে দেয় ইসিএল কর্তৃপক্ষ। ফলে এলাকার মানুষরা যারা খনির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত তাদের পুনর্বাসনের দিকটি অনিশ্চিত রয়েছে ।
ইসিএলের এই মনোভাবের কারণে বুধবার সিদুলি বাঁচাও কমিটির লোকজন খনির কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভে সামিল হন। বিক্ষোভের যেতে গতকাল থেকে বন্ধ ছিল খনির খননের কাজ কিন্তু হঠাৎ বৃহস্পতিবার সকালবেলা খনির খননের কাজ শুরু হতেই ফের খনি চত্বরে এসে বিক্ষোভে সামিল হয় সিদুলি বাঁচাও কমিটির লোকজন । বিক্ষোভকারীদের দাবি এক দল গুন্ডা নিয়ে ইসিএল কর্তৃপক্ষ খনির কাজ শুরু করার পরিকল্পনা করেছে।
তারা জানান তারা এটা কোনভাবেই মেনে নেবেন না,যতদিন এলাকার মানুষদের ক্ষতিপূরণের দিকটি ইসিএল কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করছেন। বৃহস্পতিবার এর ঘটনায় উত্তেজনায় ছড়ালে ঘটনাস্থলে নামানো হয় প্রচুর পুলিশ বাহিনী।
বিক্ষোভকারীরা জানান তারা শিল্পের বিরোধী নন,তবে মানুষের ক্ষতি করে শিল্প করা যাবে না । বিক্ষোভকারীদের দাবি তাদের দাবি মত কাজ না হলে বন্ধ থাকবে খনির কাজ । যদিও এই ব্যাপারে ইসিএল এর কোন আধিকারিকের বক্তব্য পাওয়া যায়নি ।