নীলেশ দাস, আসানসোল:- দুষ্কৃতীদের নামে অভিযোগ দায়ের করলেও ২৪ ঘণ্টা পরেও তারা এখনো পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি। এই অভিযোগ তুলে থানা ঘেরাও কর্মসূচি এস এফ আই এর।বাম যুব সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাম ছাত্র যুবক মিছিল করে কুলটি থানা ঘেরাও করল। বুধবার বিকেলে কুলটি থানা ঘেরাও করে মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় সহ বাম যুব এবং ছাত্র নেতৃত্ব। সঙ্গে ছিলেন প্রায় এক হাজারের বেশি কর্মী সমর্থক। তীব্র আন্দোলন শুরু হয় কুলটি থানার সামনে। কর্মীরা রাস্তায় শুয়ে আন্দোলন শুরু করেন। এরপর থানায় ঢুকে স্মারকলিপি জমা দিতে যান মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তার দাবি ছিল মিডিয়া তার সঙ্গে যাবে। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে মিডিয়াকে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
শেষ পর্যন্ত মীনাক্ষী মিডিয়ার সামনেই তার দাবি রাখেন। তিনি দাবী করেন ২৪ ঘন্টা পরেও কেন অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার হল না, অবিলম্বে তাদেরকে গ্রেফতার করতে হবে। দ্বিতীয়তঃ যে বাম ছাত্র যুব নেতারা আহত হয়েছেন রক্তদান শিবিরে তাদের পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে সেই বিষয়ে তদন্ত করতে হবে এবং তৃতীয়তঃ ১ সিভিক ভলেন্টিয়ার মঙ্গলবার বাম নেতৃত্বের সঙ্গে অশালীন ব্যবহার করেছিলেন। তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। শেষ পর্যন্ত মিডিয়ার সামনেই পুলিশকে স্মারকলিপি দেন মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। যদিও শেষে কুলটি থানার আইসির অনুরোধে তার চেম্বারে ঢুকে কথা বলেন মিনাক্ষী সহ বাম ছাত্র যুব নেতৃত্ব।
কর্মসূচির পর মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় জানান, যদি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা না হয়, তবে জেলা জুড়ে আন্দোলন হবে। অন্যদিকে কুলটি কলেজের অধ্যক্ষ সুপ্রিয় চক্রবর্তী ঘটনা প্রসঙ্গে দাবি করেছেন, যে বিষয়টি প্রচার হচ্ছে তা সর্বৈব মিথ্যে। মঙ্গলবার যে রক্তদান শিবির ছিল তা এসএফআই কিংবা বাম দের সংগঠন দ্বারা পরিচালিত ছিল না। কলেজের এনএসএস এবং স্টাফ সংগঠন দ্বারা এই রক্তদান শিবির পরিচালিত হচ্ছিল। হঠাৎ করে বামেদের নামে কেন প্রচার হচ্ছে এবং বামেদের নামে প্রচার হওয়ার কারণেই তৃণমূল সংগঠনের লোকেরা এসে আপত্তি জানিয়েছে। তার ফলেই অশান্তি হয়েছে বলে তার দাবি।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার কুলটি কলেজে রক্তদান শিবিরে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতি দ্বারা হামলার অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা পরেও দুষ্কৃতীদের নামে অভিযোগ দায়ের করলেও তারা এখনো পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি বলে অভিযোগ। উপরন্তু বাম ছাত্র-যুব যারা আহত হয়েছেন তাদের পরিবারের লোকেদের ফোন করে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। আর এমনই অভিযোগে ফের উত্তাল হলো কুলটি।