Type Here to Get Search Results !

পানাগড় বাজারে যাত্রী প্রতিক্ষালয় নিয়ে শুরু হলো বিতর্ক




কাঁকসা:-গত দু বছর আগে শুরু হয় পানাগড় (Panagarh) বাজারে পুরতন জাতীয় সড়কের ধরে যাত্রী প্রতিক্ষালয়।যাত্রী প্রতিক্ষালয়ে লাগানো হবে ফ্যান, দুতলা ওই যাত্রী প্রতিক্ষালয়ের উপরে তৈরি করা হয়েছে বাথরুম।সেই প্রতিক্ষালয় কাঁকসা গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা খরচ করে নির্মাণ করা হলেও তা ব্যবহার শুরু না হওয়ায় শুরু হয়েছে বিতর্ক।









কাঁকসার বাসিন্দা সুব্রত চক্রবর্তীর অভিযোগ ওই যাত্রী প্রতিক্ষালয়টি গত ৬মাস আগে সমস্ত নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে গেলেও সেটি তালা দেওয়া অবস্থায় পড়ে আছে।বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো সুরাহা মেলেনি। বাস ধরতে আশা বাস যাত্রীদের মধ্যে বিশেষ করে মহিলারা সন্ধ্যার সময় রাস্তার আনাচে কানাচে বাথরুম করছেন বাধ্য হয়।তার অভিযোগ পানাগড় বাজারের উপর দিয়ে কয়েকশো সরকারি বেসরকারি যাত্রীবাহী বাস চলাচল করে। কিন্তু বাস স্ট্যান্ড ও তার সাথে শৌচালয় নির্মাণ হলেও তা তালা দেওয়া অবস্থায় থাকার কারণে কেউ ব্যবহার করতে পারছে না।










যদিও কাঁকসা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শুক্লা সিং জানিয়েছেন সুব্রত চক্রবর্তী নামের যে ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন যে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পরেও তালা দেওয়া পরে আছে শৌচালয়।তার আগে জানা উচিৎ সেটির এখনো পুরোপুরিভাবে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয় নি।যার কারণে ঠিকাদার এখনো সেটা পঞ্চায়েত কে হস্তান্তর করে নি।বিদ্যুৎ দফতরে বিদ্যুৎ কানেকশনের জন্য আবেদন করা হলেও এখনো সেটা কার্যকরী হয় নি যার ফলে যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে লাগানো ফ্যান লাইট জ্বালানো যাচ্ছে না।  










অন্যদিকে সুব্রত চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত প্রধান পাল্টা অভিযোগ তুলে বলেন ওই ব্যক্তি শৌচাগার দেখাশোনা করার জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সেটা টেন্ডারের মাধ্যমে হবে জানিয়ে দেওয়ার পর তিনি যেহেতু শৌচাগারের দেখাশোনা করার দায়িত্ব পাবেন না সেটা বুঝতে পেরেই কাঁকসা গ্রাম পঞ্চায়েতকে বদনাম করার জন্য সংবাদ মাধ্যমকে দেখে মিথ্যা প্রচার করা করিয়েছেন।কারণ বাস স্ট্যান্ডের কোনো যাত্রী তাদের অসুবিধার কথা এখনো পর্যন্ত তাকে জানান নি।








তিনি বলেন যে স্থানে যাত্রী প্রতিক্ষালয় টি রয়েছে তার উল্টো দিকেই সাংসদ কোটায় নির্মিত শৌচালয় রয়েছে। সেটি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত হয়।মহিলাদের শৌচালয় যাওয়ার ব্যবস্থা থাকলেও কোনো প্রসূতি মা তার শিশুকে মাতৃ দুগ্ধ পান করাতে গেলে জন সম্মুখে সমস্যায় পড়তে না হয়। এছাড়াও বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা হঠাৎ শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে তারা শৌচালয়ে দ্রুত যেতে পারবেন। এই সমস্ত বিষয়ে গুলি নিয়েই শৌচালয়টি তৈরি করা হয়েছে। যা ৪০ বছর পর কাঁকসা গ্রাম পঞ্চায়েত চিন্তা ভাবনা করে তৈরি করেছে।









এলাকাবাসী ছাড়াও কাঁকসা গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগের জন্য গোটা জেলায় প্রশংসিত হয়েছে কাঁকসা গ্রাম পঞ্চায়েত। কিন্তু ব্যক্তি চরিতার্থ সফল করার উদ্দেশ্য নিয়ে সুব্রত চক্রবর্তী কাঁকসা গ্রাম পঞ্চায়েত কে বদনাম করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে যার অভিযোগ তিনি উচ্চ আধিকারিকদের কাছে জানিয়েছেন।।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad