তনুশ্রী চৌধুরী,কাঁকসা:- কাঁকসার আমানিডাঙ্গা এলাকার আদিবাসী পাড়ার এক মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা গত এক বছর আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে খোঁজাখুঁজি করার পরও তার কোনো খোঁজ পাননি। অবশেষে প্রায় এক বছর পর মানসিক ভারসাম্যহীন ওই মহিলা কাঁকসার নাম উচ্চারণ করার পর একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও কাঁকসা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা চৈতালি রায়ের সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার কাঁকসায় নিজের বাড়ি ফেরেন মানসিক ভারসাম্যহীন ওই মহিলা।
ওই মহিলার পিতা মঙ্গলা টুডু জানিয়েছেন গত এক বছর আগে তার মেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। বহু খোঁজাখুঁজি করা হলেও তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। অবশেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে কাঁকসা থানার পুলিশ তাকে ডেকে তার হাতে মেয়েকে তুলে দেয়।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য শ্রাবণী দাস জানিয়েছেন কোনো ভাবে ওই মহিলা উড়িষ্যা পৌঁছে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে খড়্গপুরে হোমে রাখা হয়েছিলো।মানসিক ভারসাম্যহীন হলেও কখনো কখনো তিনি একাধিক জায়গার নাম বলতেন। সেই মত তারাও তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে সেই সমস্ত এলাকার থানার আধিকারিকদের সাথে যোগাযোগ করতেন। তারপরেও তার পরিবারের কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না।।
গত কয়েকদিন আগে হঠাৎ করে তিনি কাঁকসার নাম উচ্চারণ করেন। তারপরেই কাঁকসা থানার আধিকারিকদের সাথে তারা যোগাযোগ করে তার পরিবারের সন্ধান পান তারা।বৃহস্পতিবার ওই মহিলাকে কাঁকসা থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন এবং কাঁকসা থানার পুলিশ ওই এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যা চৈতালি রায়কে নিয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই মহিলাকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেন।
কাঁকসা গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যা চৈতালি রায় জানিয়েছেন তার বাবা তাকে মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার খবর দিয়েছিল সেই মত তিনিও চারিদিকে খোঁজ করার কথা বলেছিলেন। বহু খোঁজাখুঁজির পরেও ওই মহিলার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিলো না।অবশেষে কয়েকদিন আগেই ওই মহিলার সন্ধান পেয়ে তাকে কাঁকসার ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। অবশেষে বৃহস্পতিবার তাকে কাঁকসার ফিরিয়ে নিয়ে এসে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।