সোমনাথ মুখার্জি, পাণ্ডবেশ্বর :- আজ শেষ হলো পিতৃপক্ষ শুরু দেবিপক্ষ ।মহালয়ার দিন পিতৃপক্ষের অবসান হয়ে দেবীপক্ষ শুরু। আক্ষরিক অর্থে মহালয়া থেকেই দুর্গা পুজোর সূচনা হয়। এই দিনে অনেকেই তাদের পূর্বপুরুষদের শ্রদ্ধা জানাতে গঙ্গায় তর্পণ করেন। গ্রামের বহু মানুষ যারা গঙ্গায় যেতে পারেন না এলাকার পুষ্করনীতে পূর্বপুরুষদের তিল জল দিয়ে সন্তুষ্ট করতে তাদের আশীর্বাদ পেতে করেন তর্পন।
পিন্ড দান বা শ্রাদ্ধের মতো আচার অনুষ্ঠানও করা হয়। কথিত আছে, পিতৃপক্ষে পূর্বপুরুষকে তিল, জল দান করলে তাঁদের আশীর্বাদে সংসারের সমস্ত বাধা-বিঘ্ন নাশ হয় এবং জীবনে সুখ, শান্তি আসে। পিতৃপক্ষের শেষ দিন অর্থাৎ মহালয়া অমাবস্যা হল তর্পণ ও শ্রাদ্ধ কর্মের জন্য শ্রেষ্ঠ তিথি।
মহালয়ার ভোরে বাঙালীর ঘরে ঘরে ভেসে আসে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের সুমধুর কন্ঠস্বরে মা দূর্গার আগমনী বার্তা। চারিদিকে পুরদস্তুর শুরু হয়ে যায় পুজোর প্রস্তুতি। মহালয়া অমাবস্যার পরবর্তী তিথি অর্থাৎ প্রতিপদ থেকেই অনেক জায়গায় শুরু হয়ে যায় দেবী দুর্গার আরাধনা।
পাশাপাশি,জেলাতেও একই ছবি ধরা পড়ে। যার অন্যথা হয়নি এবারেও। মহালয়ার সকালে দুর্গাপুর ব্যারাজে সেই পুরোনো ছবি দেখা গিয়েছে। বহু মানুষ এদিন সকাল সকাল হাজির হয়েছিলেন পূর্বপুরুষদের উ্দ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জানাতে।
বিগত দু বছর অতিমারির জন্য মানুষের জমায়েত কম হয়েছিল। তবে এই বছর ফের সকে নিজস্ব রীতি মেনে নিজেদের পূর্বপুরুষদের স্মরণ করেছেন, তাদের আর্শিবাদ চেয়েছেন। আর মহালয়া মানেই উমার আগমন সময়ের অপেক্ষা।