শুভময় পাত্র ,বীরভূম:- এবার বীরভূমে ঢুকে পরল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। ইডি ও সিবিআই এর এক বিশাল বাহিনী আজ সকাল থেকেই বীরভূমের বিভিন্ন প্রান্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের অফিসারদের নিয়ে ছুটে চলেছে বীরভূমের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত। সকাল সকাল প্রত্যাশিতভাবেই শান্তিনিকেতনের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি 'অপা'র অপারেশন শুরু করল এনফর্সমেন্ট ডাইরেকটোরেট । গতকাল রাতেই তারা শান্তিনিকেতন পৌছান । বিশ্বভারতীর গেস্টহাউস রতনকুঠিতে তারা উঠেছেন। সেখানেই অস্থায়ীভাবে আপাতত খুলেছেন ক্যাম্প অফিস।
আজ সকাল হতেই বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েন ইডি অফিসারেরা। শান্তিনিকেতনে 'অপা'তে তারা তল্লাশি শুরু করেন। আবার অন্যদিকে শান্তিনিকেতনের রতনকুঠি গেস্ট হাউস থেকেই দুটি দলে বিভক্ত হয়ে নানুরের বাসাপাড়া ও সিউড়ির দিকে যায় তদন্তকারী অফিসারেরা। বীরভূম জেলা তৃণমূলের জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খান ও সিউড়িতে পাথর ব্যবসায়ী টুলু মণ্ডলের বাড়িতে হানা দেয় অফিসারেরা। সকালে তাদের ১০ টি গাড়ি বেরিয়ে পরে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে দুটি দলে ভাগ হয়ে একটি দল নানুরের দিকে, অন্য একটি দল সিউড়ির দিকে চলে যায়৷
নানুরের বাসাপাড়ার সাঁতরা গ্রামে বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খানের বাড়িতে যান সিবিআই অফিসারেরা৷ প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী হিংসায় অভিযুক্ত হিসাবে নাম রয়েছে এই কেরিম খানের৷ অন্যদিকে, সিউড়ির সাজানো পল্লী এলাকায় পাথর ব্যবসায়ী টুলু মণ্ডলের বাড়িতে সকাল সকাল হানা দেয় ইডির অফিসারেরা। উল্লেখ্য, এরা দুজনেই তৃণমূল বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত। এছাড়া সিউড়ির সাজানোপল্লীতে একাধিক জায়গায় ঘোরাফেরা করছে আধিকারিকরা। এছাড়াও অন্যদিকে তৃণমূল নেতা বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল করিম খানের ঘনিষ্ঠ মুক্তার শেখ এর মোবাইল বাজেয়াপ্ত করল সিবিআই। পাশাপাশি বেশকিছু নথি উদ্ধার হয়েছে বলে জানাগেছে।
বাসাপাড়া আতকুলা গ্রামে মুক্তার শেখের বাড়িতে যে ৪ সদস্যের সিবিআই প্রতিনিধি দল এসেছিল সকাল আটটা নাগাদ সেই প্রতিনিধি দল দীর্ঘ তল্লাশির পর বেলা দেড়টা নাগাদ মুক্তা শেখের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে বেশ কিছু নথি ও মুক্তা শেখের মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে গেছে সিবিআই।
মুক্তা শেখ জানিয়েছে তার মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে গেছে এবং তার বাড়ি সকাল থেকে এসেই তল্লাশি শুরু করেছিল CBI প্রতিনিধি দল যদিও তেমন কিছু উদ্ধার করতে পারেনি বলেই জানিয়েছে মুক্তার শেখ। কখনো শান্তিনিকেতন কখনো নানুর থানার বাসাপাড়া আবার কখনো সদর শহর সিউড়িতে ই ডি ও সিবিআই এর অতর্কিত হানা ফলে রীতিমত চাঞ্চল্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে এই মুহূর্তে গোটা বীরভূম জুড়ে।