সংবাদাতা,পূর্ববর্ধমান:- শনিবার রাজ্য কিষাণমোর্চার বৈঠকে বর্ধমানের টাউনহল উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শনিবার বিজেপির রাজ্য কিষাণ মোর্চার অনুষ্ঠানে যোগ দেবার পর শহরের টাউনহল থেকে নীলপুর পর্যন্ত পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন সুকান্ত মজুমদার।
পদযাত্রা শেষে নীলপুর মোড়ে পথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, মোদীজি ক্ষমতায় আসার পর গরু পাচার বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু কেষ্টর গরু পাচারের জন্য এই রাজ্যে সীমানায় বেশ কিছু জায়গায় কাটাতারের বেরা দিতে দেয়নি। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের পর একবছর আমাদের কর্মীদের উপর অনেক অত্যাচার হয়েছে। কর্মীদের উদ্দেশ্যে প্রকাশ্য সভামঞ্চ থেকে তিনি বলেন, 'একটা মার দিতে এলে দশটা ফেরত দিন। হামলা করলে উপযুক্ত ওষুধ দিয়ে পাঠান, দল আপনার পাশে আছে।'
আটজন আই পি এস কে দিল্লিতে পাঠানো প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, দিল্লিতে কতজন যায় আমরা দেখার জন্য অপেক্ষা করছি।সেখান থেকে কয়েকজন ফিরে না এলেও অবাক হবেন না। তিনি আরও বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে চুরির প্রমাণ থাকলে তাকেও জেলে যেতে হবে।' নেতাদের বিরুদ্ধে আর্থিক বৃদ্ধি মামলা প্রসঙ্গে সুকান্তর হুঁশিয়ারি 'মুখ্যমন্ত্রী সাহস থাকলে আমার সম্পত্তি নিয়ে তদন্ত করান।' পুলিশের উচিত তৃণমূল নেতাদের ঘার ধরে জেলে ঢোকানো। পুলিশ পারছে না তাই ইডি, সিবিআই এই কাজ করছে।
ইডি, সিবিআই কম পরে যাচ্ছে তাই এবার বিজেপিকে পথে নামতে হবে। প্রকাশ্য সভামঞ্চ থকে সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'যারা তৃণমূল নেতাদের টাকা দিয়ে চাকরি পাননি, প্রতারিত হয়েছেন তাদের বিজেপি পার্টি অফিসে যোগাযোগ করুন। আমরা আপনাদের হয়ে লড়বো।'
এদিন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের চারদিনের সিবিআই হেফাজতকে স্বাগত জানিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন ' চালকল থেকে গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে। সিবিআই হেফাজতে থাকলে আরো অনেক কিছু জানা যাবে।আরো অনেক সম্পত্তির হদিস মিলবে।' অন্যদিকে ক্যানিংয়ে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় তিনি বলেন,'পুলিশ প্রশাসন দলদাসে পরিণত হয়েছে। সেইজন্যই এইসব ঘটছে। হয়তো দেখা যাবে ওই তৃণমূল নেতা চাকরীর নামে টাকা নিয়েছিল।তবে পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হতে হবে। বোলপুরে মেডিকেল কলেজ নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, গরুর টাকায় অনুব্রত মণ্ডল মেডিকেল কলেজ বানিয়েছেন।'
পাশাপাশি এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এস এস কে এম এ ভর্তি প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। তিনি বলেন '১১০ কেজি ওজন নিয়ে দিনে দু'বার ভাত খেলে শরীর খারাপ হবে নাতো কি হবে? পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এখনো অনেক বলা বাকি আছে। উনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন আর বাকিদের নাম বলুন,' মন্তব্য বিজেপি রাজ্য সভাপতির।