তনুশ্রী চৌধুরী, কাঁকসা:- প্রায় ৪০০ বছরের প্রাচীন কাঁকসার গোপালপুরে গোপাল মন্দির। মহা ধুমধামে জন্মাষ্টমীর পুজোর আয়োজন করা হয় এই মন্দিরে প্রতি বছর । কাঁকসার গোপালপুর গ্রামে চট্টোপাধ্যায় পরিবারের চারশো বছরের পুরানো গোপাল মন্দির। সেই মন্দিরে রয়েছে রাধা কৃষ্ণের কষ্টি পাথরের মুর্তি ।জানা গেছে বৃন্দাবন থেকে আনা হয়েছিল রাধা কৃষ্ণের সেই মুর্তি। সুদূর বৃন্দাবন থেকে গোটা রাস্তা পায়ে হেঁটেই তাকে আনা হয়েছিলো কাঁকসার গোপালপুর গ্রামে।
৪০০ বছর আগে এই রাধা কৃষ্ণের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন নিমাইচাঁদ চট্টোপাধ্যায় । নিত্যপুজো হয় ধুমধাম করেই। তবে শুক্রবার জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে সকাল ৬টার থেকেই স্নানপর্ব এবং নতুন বস্ত্র ধারণের পরেই শুরু হয়ে যায় পুজো । সকাল থেকেই ভক্তরা মন্দিরে ভিড় জমান পুজো দিতে।
গোপালপুর ছাড়াও আশেপাশের ২০টি গ্রামে গোপাল নামেই প্রসিদ্ধ । জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে প্রতি বছর বহু মানুষ মন্দিরে পুজো দিতে আসেন এবং তারা তাদের মনস্কামনা পূরণ করার আবেদন জানান গোপালের কাছে।
চট্টোপাধ্যায় পরিবারের সদস্য শান্তনু চট্টোপাধ্যায় বলেন মূল পুজো শুরু হয় সন্ধ্যা ৮টার পরে । তখন কয়েকশো ভক্ত আসেন পুজো দিতে এবং প্রসাদ গ্রহণ করেন । পুজো চলে রাত বারোটা পর্যন্ত । চলে নাম সংকির্তন , গৌরচন্দ্রিকা হয় সন্ধ্যা থেকেই। গোপালপুরের নামেই কি গোপালের নাম ? উত্তরে চট্টোপাধ্যায় পরিবারের সদস্যরা জানান গোপালের নাম গ্রামের নাম অনুসারেই রাখা হয়েছিলো।