সংবাদাতা,পূর্ববর্ধমান:- পূর্ব বর্ধমানের রসুলপুরে ১৮০০ চাষির আলু নষ্ট হয়। বারবার বৈঠক, আবেদন নিবেদন এমনকি জেলাশাসকের সাথে বৈঠক হলেও কোনো সমাধানসূত্র মেলেনি। তাদের অভিযোগ ,মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ সত্বেও জেলা প্রশাসনের ক্ষতিপূরণ নিয়ে উদ্যোগ নেই।আজ তাই বর্ধমানের জি টি রোড অবরোধ করে কার্জনগেটের সামনে বসে পড়েন চাষিরা। তাদের দাবি অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধানে লিখিত প্রতিশ্রুতি চাই। নইলে আরো বড় আন্দোলন হবে।কারণ এটা প্রায় দশ হাজার মানুষের সমস্যা।।
প্রসঙ্গত , এর আগেও জেলা প্রশাসনের সাথে বৈঠকেও তেমন কোন সমাধান সূত্র না মেলেনি।ফলে চরম হতাশ হয়ে পড়েন আলুচাষীরা।কিছুদিন আগে হিমঘরে রাখা আলু পচে যাওয়ায় ক্ষতিপূরণের দাবীতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান চাষীরা। রসুলপুরের তিরুপতি হিমঘরে আলু রেখেছিলেন চাষিরা। কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে প্রায় এক লক্ষ প্যাকেট আলু নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে চাষীদের দাবি। হিমঘর মালিক প্রথমে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি প্রতিশ্রুতি রাখেননি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সফরে এসে ওই হিমঘর মালিকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আলুর ক্ষতিপূরনের টাকা না পেয়ে ইতিমধ্যেই হিমঘর মালিকের বিরুদ্ধে মেমারি থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছেন কৃষকরা।
উল্লেখ্য, মেমারীর রসুলপুর এলাকার তিরুপতি হিমঘরে গত ১৯ মে রসুলপুর তিরুপতি হিমঘরে আলু ছাড়াতে গিয়ে চাষীরা দেখেন হিমঘরের ৩ নম্বর চেম্বার ও ২ নম্বর চেম্বারের আলু শেডে ফেলার পর দেখা যায় আলু পচে গিয়েছে। হিমঘর কর্তৃপক্ষের গাফিলতির ফলেই এক লক্ষ ১৫ হাজার প্যাকেট আলু নষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন চাষীরা। চাষীদের বিক্ষোভের মুখে পরে গত ৬ জুন হিমঘর কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসন ও চাষীদের সাথে বৈঠকে বসে।সেই বৈঠকে জেলা প্রসাশনের আধিকারিকদের পাশাপাশি স্থানীয় বিধায়ক ও সংস্থার মার্কেটিং ম্যানেজার উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে স্থির হয় ক্ষতিপূরণ বাবদ চাষীদের ৮৯০ টাকা প্রতি প্যাকেট দেওয়া হবে। ক্ষতিপূরণের দিন ধার্য হয় ২১ জুন ।
কিন্তু চাষীদের অভিযোগ,নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত হিমঘর কর্তৃপক্ষ তাদের টাকা মেটানোর জন্য কোন আগ্রহ দেখাচ্ছে না। এমনকি উল্টে হিমঘর মালিক হাইকোর্ট মামলা দায়ের করেছেন। এমত অবস্থায় বিপাকে পরেছে এই হিমঘরে আলু রাখা কৃষকরা।