Type Here to Get Search Results !

'বাংলা ও বাঙালির নাম ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে দেওয়ার জন্যই জাতীয় প্রতীক অশোক স্তম্ভের পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে' এই বলে অভিযোগ উঠল শান্তিনিকেতনে



শুভময় পাত্র, বোলপুর:-  'বাংলা ও বাঙালির নাম ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে দেওয়ার জন্যই জাতীয় প্রতীক অশোক স্তম্ভের পরিবর্তন করে দেওয়া  হয়েছে' এই বলে  অভিযোগ উঠল শান্তিনিকেতনে।ভারতীয় সংবিধানে জাতীয় প্রতীক হিসাবে যে অশোক স্তম্ভ গৃহীত হয়েছিল তার নকশা করেছিলেন প্রখ্যাত শিল্পী নন্দলাল বসু। কিন্তু, নয়া সংসদ ভবনের জন্য সম্প্রতি যে অশোক স্তম্ভ উন্মোচিত হল তার সঙ্গে মিল নেই সেটির, এমনটাই বিতর্ক তৈরি হয়েছে ৷ এই স্তম্ভের সিংহের মধ্যে স্বাভাবিকতা নেই, হিংসা রয়েছে বলে আক্ষেপ শান্তিনিকেতনের প্রবীণ আশ্রমিক থেকে শুরু করে বিশ্বভারতীর কলাভবনের অধ্যাপক-শিল্পীদের। তাঁরা জানান, 'এটি জাতীয় প্রতীক, এখানে শিল্পীর নিজস্বতা দেখানোর অধিকার নেই । কারণ আগে যে অশোক স্তম্ভ। তার স্কেচ তৈরি করেছিলেন শিল্পাচার্য নন্দলাল বসু।







তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু শিল্পাচার্যকে এই দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তখন কলাভবনের অধ্যক্ষ পদে ছিলেন নন্দলাল বসু। তিনি ছাত্রছাত্রীদের কে নিয়ে শুরু করে দিয়েছিলেন জাতীয় প্রতীক অশোক স্তম্ভের স্কেচ করার কাজ । চিড়িয়াখানায় গিয়ে ও বিভিন্নভাবে  পর্যবেক্ষন  করেছিলেন সিংদেরর। তার পরেই স্কেচ করেছিলেন। যা জাতীয় প্রতীক অশোক স্তম্ভ হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এতদিন ধরে সেটাই চলে আসছিল । আর অশোক স্তম্ভের ইতিহাস পড়তে গেলেই চলে আসছিল বাংলা  , বাঙালি নন্দলাল বসুর নাম। হয়তো মোদি সরকারের এটা পছন্দ হয়নি। তাই সম্প্রতি সংসদ ভবনে যে অশোক স্তম্ভ প্রধানমন্ত্রীর স্থাপন করেছেন তার সাথে নন্দলাল বসুর তৈরি করা অশোক স্তম্ভের কোন মিল নেই। এই স্তম্ভের সিংহের মধ্যে স্বাভাবিকতা নেই, হিংসা রয়েছে' বলে আক্ষেপ বিশ্বভারতীর কলাভবনের অধ্যাপক-শিল্পীদের। 








গত ১১ ই জুলাই সেন্ট্রাল ভিস্তার মাথায় দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আবরণ উন্মোচনের দিন অর্থাৎ অশোক স্তম্ভের উদ্বোধনের পর থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা ৷ বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ভারতের জাতীয় প্রতীকের সিংহ ৷ বিরোধীদের অভিযোগ, দেশের জাতীয় প্রতীক অশোক স্তম্ভের সিংহগুলি অনেক সৌম্য ও শান্ত ৷ তবে মোদির উদ্বোধন করা অশোক স্তম্ভে সিংহদের শ্বদন্ত দেখা যাচ্ছে  অর্থাৎ সেগুলি আক্রমণাত্মক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বংশোদ্ভূত প্রবীণ আশ্রমিক তথা পাঠ ভবনের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সুপ্রিয় ঠাকুর তীব্র নিন্দা করেছেন এই বিষয়ের। তিনি পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন 'যে রাজত্ব করছে সে তার খুশি মত যা খুশি তাই করছে আর সেগুলোই আমাদেরকে মেনে নিতে হচ্ছে জোর করে।' অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বভারতীর অধ্যাপক কিশোর ভট্টাচার্য ও ছাত্র শুভ নাথ একইভাবে  কেন্দ্রীয় সরকারের এই ধরনের কাজের প্রতি তীব্র নিন্দা করেন।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad