সংবাদাতা,পূর্ববর্ধমান:- বুধবারই হিমঘরে রাখা আলু পচে যাওয়ায় ক্ষতিপূরণের দাবীতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান চাষীরা। মেমারির রসুলপুরের তিরুপতি হিমঘরে আলু রেখেছিলেন চাষিরা। অভিযোগ কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে প্রায় এক লক্ষ প্যাকেট আলু নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে চাষীদের দাবি। হিমঘর মালিক প্রথমে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি প্রতিশ্রুতি রাখেননি বলে অভিযোগ।তবে এদিনের জেলা প্রশাসনের বৈঠকেও তেমন কোন সমাধান সূত্র না মিললেও, কিছুটা হলেও স্বস্তি পেলেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির আলুচাষীরা।কয়েকদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সফরে এসে ওই হিমঘর মালিকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এদিকে আলুর ক্ষতিপূরনের টাকা না পেয়ে ইতিমধ্যেই হিমঘর মালিকের বিরুদ্ধে মেমারি থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছেন কৃষকরা।
এখানে উল্লেখ্য, মেমারীর রসুলপুর এলাকার তিরুপতি হিমঘরে গত ১৯ মে রসুলপুর তিরুপতি হিমঘরে আলু ছাড়াতে গিয়ে চাষীরা দেখেন হিমঘরের ৩ নম্বর চেম্বার ও ২ নম্বর চেম্বারের আলু শেডে ফেলার পর দেখা যায় আলু পচে গিয়েছে। হিমঘর কর্তৃপক্ষের গাফিলতির ফলেই এক লক্ষ ১৫ হাজার প্যাকেট আলু নষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন চাষীরা। চাষীদের বিক্ষোভের মুখে পরে গত ৬ জুন হিমঘর কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসন ও চাষীদের সাথে বৈঠকে বসে।সেই বৈঠকে জেলা প্রসাশনের আধিকারিকদের পাশাপাশি স্থানীয় বিধায়ক ও মার্কেটিং ম্যানেজার উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে স্থির হয় ক্ষতিপূরণ বাবদ চাষীদের ৮৯০ টাকা প্রতি প্যাকেট দেওয়া হবে। ক্ষতিপূরণের দিন ধার্য হয় ২১ জুন ।
কিন্তু চাষীদের অভিযোগ,নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত হিমঘর কর্তৃপক্ষ তাদের টাকা মেটানোর জন্য কোন আগ্রহ দেখাচ্ছে না। এমনকি উল্টে হিমঘর মালিক হাইকোর্ট মামলা দায়ের করেছেন। এমত অবস্থায় বিপাকে পরেছে এই হিমঘরে আলু রাখা কৃষকরা।
বৃহস্পতিবার জেলাশাসকের দপ্তরে বৈঠক হয়।ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা, পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন, আলুচাষীদের প্রতিনিধি ও হিমঘর মালিক।বৈঠক শেষে হিমঘর মালিক সিধার্থ ভট্ট বলেন,দুদিন সময় নিয়েছি।কিছু টাকা মেটানোর তিনি আশ্বাস দেন বৈঠকে। চাষীরা জানান তারা হতাশ। সামনেই ধান চাষ।এখন টাকা না পেলে চাষাবাদ করতে পারবো না।অনাহারে তাদের মরতে হবে।তবে ৪৮ ঘন্টা সময় চেয়েছে মালিকপক্ষ। সুতরাং তাদের আশা নিশ্চয় কিছু একটা সমাধানসূত্র বের হবে।জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা বলেন, ৪৮ ঘন্টা পর একটা সমাধান সূত্র বের হবে।