সংবাদাতা,দুর্গাপুর :- বায়ু দূষণ কমাতে আরো তৎপর পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। কয়লার উনুনের পরিবর্তে স্মোকলেস চুলা বিতরণ। ফুটপাতের দোকানে কয়লার উনুন থেকে বাড়ে দূষণের মাত্রা। আর সেই ফুটপাতের দোকানগুলি থেকে দূষণ কমাতে বৈদ্যুতিক চালিত পরিবেশবান্ধব উনুন বিতরণ করা হয় বৃহস্পতিবার বিকেল।
এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র, দুর্গাপুরের মহানগরীক অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়, পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সদস্য সম্পাদক, আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটরে ডিসি ইস্ট অভিষেক গুপ্তা, দুর্গাপুর নগর নিগমের মেয়র পারিষদ সদস্য পরিবেশ প্রভাত চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র জানান দেশব্যাপী দূষণের সমীক্ষায় ১২২টি শহরকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই রাজ্যের ছটি শহরকেও চিহ্নিত করা হয়েছে তার মধ্যে আসানসোল দুর্গাপুরও রয়েছে। এই দূষণকে কিভাবে কমানো যায় সেজন্যই উঠেপড়ে লেগেছে পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। রাজ্য জুড়ে দূষণ নিয়ন্ত্রণে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। দূষণের চিহ্নিত শহরগুলিতেও দূষণ কমানোর চেষ্টা চলছে। সৌর চালিত, গ্যাস চালিত, বৈদ্যুতিক চালিত উনুন ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
শিল্পাঞ্চলে কম দামে পাওয়া যায় কয়লা, যার ধোঁয়ায় পরিবেশ সহজেই দূষিত হয়। সেইসব বিষয় নিয়েও ব্যবসায়ীদের সচেতন করা হয়। ঐদিন ৩৫ টি স্মোকলেস চুলা বিতরণ করা হয়। এই চুলা গুলিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির GPS সিস্টেমের মাধ্যমে বোঝা যাবে কোথায় কোথায় ব্যবহার হচ্ছে এই পরিবেশ বান্ধব স্মোকলেশ উনুন গুলি। সম্প্রীতি শুরু হওয়া 'পশ্চিমবঙ্গ পরিবেশ অ্যাপের' মাধ্যমে বোঝা যাবে কোন জায়গার পরিবেশ কেমন। জমা করা যাবে অভিযোগ। যারা অভিযোগ দায়ের করবে তাদের ৫০০ টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হবে।দূষণ কমাতে তৎপর পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।