সংবাদাতা,পূর্ববর্ধমান:- বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (ইউ.আই.টি.)তে অশান্তি। কর্মী এবং নিরাপত্তারক্ষীদের একাংশের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের মারধর করার অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় আহত দুই শিক্ষক, এক অশিক্ষক কর্মী। দুই মহিলা শিক্ষককেও অশ্লীল ভাষায় গালাগাল দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরে ছাত্রদের একাংশ হাতাহাতিতে জড়িয়ে পরে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ক্যাম্পাসে পৌঁছায় পুলিশ ও র্যাফ বাহিনী । ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে আহতরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে দুই কর্মী অমিয় প্রসাদ ঘোষ, প্রীতম দে কলেজের শিক্ষক অপূর্ব ঘোষ এবং পার্থপ্রতিম সরকারকে মারধর করে বলে অভিযোগ। মারধর করা হয় কমলকৃষ্ণ দাস নামে আকাউন্ট বিভাগের এক কর্মীকে। আহত দুই শিক্ষক এবং একজন কর্মী বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসার পর বর্ধমান থানায় দুই পক্ষই পৃথক অভিযোগ দায়ের করেন।
কেন এই ঝামেলা? জানা গেছে, সকালে একটি অনলাইন বৈঠক হয় পড়ুয়াদের ফর্ম ফিলাপ নিয়ে। সেখানে ঠিক হয়, যারা এখনও টাকা জমা দিতে না পারার জন্য ফর্ম ফিলাপ করতে পারেননি তাঁদের জন্য আরও একমাস সময় দেওয়া হবে। অপূর্ব ঘোষ এবং পার্থপ্রতিম সরকার এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এদিন তাঁরা যখন কলেজ আসেন তাঁদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। জামাকাপড় ছিঁড়ে দেওয়া হয়। ঘটনার পর পড়ুয়ারাও দুটি দলে বিভক্ত হয়ে গিয়ে হাতাহাতি শুরু করে। ঘটনা সামাল দিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী ক্যাম্পাসে যায়।
আহত শিক্ষক পার্থপ্রতিম সরকার বলেন, বিহার বোর্ডের কিছু পড়ুয়ার স্কলার্সশিপের টাকা না আশায় তাঁরা ফি দিয়ে ফর্ম ফিলাপ করতে পারেননি। শুক্রবার ফর্ম ফিলাপের শেষ তারিখ। সোমবার পরীক্ষা। তাই এদিন সকালে অনলাইনে একটি বৈঠক করে ঠিক হয় যে, ওই পড়ুয়ারা একমাসের মধ্যে টাকা দিয়ে দেবে, এই মর্মে লিখিত দিলে তাঁদের ফর্ম ফিলাপের সুযোগ দিয়ে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে। কেন এই সিধান্ত নেওয়া হয়েছে, এই প্রশ্ন তুলে কলেজে আসতেই তাঁদের মারধর করা হয়। পার্থপ্রতিমবাবুর অভিযোগ তাঁকে মারধর করার পাশাপাশি, প্যান্ট জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত প্রীতম দের অবশ্য দাবী, অধ্যক্ষ নিয়মিত কলেজ আসেন না। কিছু শিক্ষক এবং কর্মী তাঁর বাড়িতে গিয়ে প্রয়োজনীয় সই করিয়ে আনেন। এছাড়াও অধ্যক্ষ বিভিন্ন অনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত আছেন। তারা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। সেই কারণেই তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে। উল্টে অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে স্বজন পোষণের অভিযোগ তোলেন প্রীতম বাবু। তার আরও অভিযোগ অনেক ছাত্রছাত্রী এখনো ফর্ম ফিলাপের টাকা জমা দেয়নি। কিন্তু প্রিন্সিপাল মাত্র ২৮ জনকে এক মাসের সময় দিয়ে ফর্ম ফিলাপ করার সুযোগ দিচ্ছেন। বাকিদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। আমরা শুধু এই বিষয়টি নিয়ে জানতে গিয়েছিলাম। উল্টে তাদের সাথেই খারাপ ব্যবহার করা হয় বলে প্রীতম দের অভিযোগ।