নিলেশ দাস, আসানসোল:- গত মঙ্গলবার রাতে আসানসোলের এক ৪০ বছরের পুরনো বিবেকানন্দ স্কুল বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দিল রেল প্রশাসন। বুধবার সকালে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কাউন্সিলর তথা ব্লক সভাপতি গুরুদাস চ্যাটার্জীর নেতৃত্বে বিবেকানন্দ স্কুল থেকে একটা প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে ডিআরএম অফিসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
এদিন গুরুদাস চ্যাটার্জী জানান, আসানসোলে ঐতিহ্যবাহি বিবেকানন্দ স্কুলকে মোদি সরকারের রেল প্রশাসন ভেঙে দিল, এই স্কুলে এলাকার গরীব বাচ্চারা পড়াশোনা করতো। আসানসোলে আরো কয়েকটি স্কুল বন্ধ করে দেবার নোটিশ দেওয়া হয়েছে অন্যায় ভাবে অবিলম্বে সেসব স্কুল বন্ধের নির্দেশ প্রত্যাহার না করলে আগামী দিনে আরো বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন ভারতবর্ষে ৯৮ টি স্কুলে রেল প্রশাসন নোটিশ দিয়েছে। যে এই স্কুল গুলি বন্ধ করে দিতে এরপর কৃষকদের গাড়ি চাপা দিয়ে মারা আজকে এই ঐতিহ্যবাহী স্কুল বিবেকানন্দ স্কুল যেটি বহু পুরনো আজকে আমাদের দেখা ৫০ থেকে ৬০ বছরের পুরনো স্কুলটি রেল প্রশাসন ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল এর জন্য দায়ী বিজেপি সরকার। যতগুলি রেল স্কুল ছিল সেই স্কুলগুলোকে পুনরায় চালু করা হোক এই আবেদন ডিআরএম সাহেবের কাছে জানিয়েছেন।
পাশাপাশি শ্রমিক নেতা রাজু আলুওয়ালিয়া জানান, বিজেপি সরকার সাধারণ মানুষ এবং পড়ুয়া বাচ্চাদের উপর অমানবিক কাজকর্ম করে চলেছে এর জন্য আমরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করবো। জোরদার আন্দোলন চালাবো ২০২৪ সালে বিজেপি সরকারের কোনো অস্তিত্বই থাকবে না। এটাই আমরা আশা করি। কেন বহু পুরনো এই স্কুল আমরা ছোটবেলা থেকেই দেখেছি এই স্কুলে পড়াশোনা করতে আজ সে স্কুল রেল প্রশাসন ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল।
অন্যদিকে বিজেপি রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বাপ্পা চ্যাটার্জী জানান, তৃণমূল কংগ্রেস আগে এটা বলো আসানসোল কর্পোরেশন এর আন্ডারে কতগুলি স্কুল বন্ধ করা হয়েছে এবং কতগুলি বেসরকারি স্কুল আগাছার মতন জন্মাচ্ছে যেখানে অনিয়মিত পয়সা নিয়ে বাচ্চাদের এডমিশন করাতে হচ্ছে। এর জন্য তৃণমূল কংগ্রেস তো কখনই আন্দোলন করেনি। আর যে সমস্ত ইস্কুল গুলি রেল প্রশাসন ভেঙে দিচ্ছে সে সমস্ত প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব যদি কোনো কাগজপত্র থাকে তাহলে আমরা নিজেরাই এগিয়ে এসে সমস্ত সংস্থার কাছে আবেদন করব। যে এদের পুনর্বাসন এবং ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক।
অন্যদিকে রেলের জনসংযোগ আধিকারিক সুবল চন্দ্র মন্ডল জানান, রেল প্রশাসন এই স্কুলটিকে মেনটেনেন্স করার উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু দেখা গেল এই স্কুলটির এতই খারাপ পজিশনে আছে যেখানে বাচ্চারা পড়াশোনা করলে কোন একটা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে তাই এই স্কুল ঘরটি ভেঙে দেওয়া হয়। তবে এটি একটি ৫২ নম্বরের কোয়ার্টার ওই কোয়ার্টারে চলত স্কুল।