সংবাদাতা, পূর্ব বর্ধমান:- খাগড়াগড়ের জাল নোট কারখানা কাণ্ডের পর এলাকা থমথমে। যে বাড়িটি থেকে গতকাল জাল নোটের কারখানার হদিশ মিলেছে আজ তা ভিতর থেকে বন্ধ করা রয়েছে। বাড়িতে একজন পরিচারিকা ছাড়া কেউ নেই।
ওই এলাকার প্রতিবেশীর বলছেন যে ওই বাড়িটির ভাড়াটিয়াদের আচরণে কোনো অসংলগ্নতা তাদের নজরে আসে নি। কিন্তু একজন মহিলার কিছু মানসিক সমস্যা ছিল। চেঁচামেচি হত। তেমন কোনো বাইরের লোককে আসার ঘটনা তারা দেখেন নি।
অন্যদিকে এলাকায় বাড়িভাড়া দেবার ক্ষেত্রে ভাড়াটিয়ার নথিপত্র থানায় জমা দেবার জন্য পুলিশের তরফ থেকে গত কয়েকমাস যাবৎ প্রচার চলেছে। এক্ষেত্রেও তা হয়েছে কী না প্রশ্ন সেটাও। এলাকার সচেতন বাসিন্দারা মনে করছেন, এই নিয়ে সবার সচেতন হওয়া উচিত। এলাকায় নাগরিক কমিটি গড়ে তোলা উচিত। এভাবে বারবার এলাকার বদনাম হওয়াতে তারা ক্ষুণ্ণ।খুবই আশঙ্কায় আছেন তাঁরা।
অন্যদিকে বাড়ির মালিক সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে গিয়েও দেখা গেল বাড়ির ভিতর থেকে কোনো সাড়া নেই। বন্ধ করা আছে ভিতর থেকে।এলাকায় দমবন্ধ পরিবেশ।
বোমা বারুদ নয়, বৃহস্পতিবার বর্ধমানের খাগড়াগড়ে হদিস মিলে জাল নোট তৈরীর কারখানার। উদ্ধার হয় নকল নোট, নোট ছাপার মেশিন ও অন্যান্য সরঞ্জাম। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে বর্ধমান থানার পুলিশ।ধৃতদের শুক্রবার বর্ধমান আদালতে তোলা হয়।
ধৃতদের মধ্যে দীপঙ্কর চক্রবর্তী দক্ষিণ ২৪পরগনা ও গোপাল সিং এবং বিপুল সরকার বর্ধমান শহরের বাসিন্দা। পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পায় কয়েকদিন ধরে খাগড়াগড় ও তার সংলগ্ন এলাকায় জাল নোটের লেনদেন চলছে। তদন্তে নামে বর্ধমান থানার পুলিশ। খোঁজ পায় খাগড়াগড় এলাকার মাঠপাড়ায় একটি বাড়িতে জাল নোটের কারবার চলছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে হঠাৎ পুলিশ ওই বাড়িতে হানা দিয়ে হাতেনাতে জাল নোট সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার ধৃতদের কাছ থেকে ১২হাজার ৫০০টাকা জাল নোট এবং নোট তৈরীর ডাইস ও পাউডার, কেমিক্যাল ইত্যাদি উদ্ধার হয়। শুক্রবার ধৃতদের আদালতে তুলে পুলিশ হেফাজত নেওয়া হবে। জানার চেষ্টা করা হবে ধৃতরা কতদিন ধরে এই জাল নোট তৈরীর সাথে যুক্ত বা এদের সঙ্গে আর কারা কারা যুক্ত আছে। এছাড়া কতটাকার জাল নোট ইতিমধ্যে শহরের ছড়িছে তা জানার জন্য তদন্তে নেমেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ৪-৫ মাস আগে খাগড়াগড়ের পূর্ব পাড়ায় সিরাজুল ইসলামের বাড়ি ভাড়া নেয় গোপাল সিং। তার সাথে তার স্ত্রী, শাশুড়ি ও একজন পরিচারিকা ছিল। এলাকায় সে নিজেকে মানবাধিকার কর্মী বলে পরিচয় দিয়েছিল।
শুক্রবার দুপুরে ঘটনাস্থলে সি আই ডি টিম যায়।দু'সদস্যের সি আই ডি টিম গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন পরিচারিকাকে।