Type Here to Get Search Results !

অন্ডালের কেন্দা এরিয়ার সিদুলি কোলিয়ারি এলাকায় শুরু হয়েছে খোলামুখ খনির কাজ



সংবাদদাতা, অন্ডাল:- অন্ডালের কেন্দা এরিয়ার সিদুলি কোলিয়ারি এলাকায় শুরু হয়েছে খোলামুখ খনির কাজ। ইসিএলের তরফে জানা যায় খনির কাজ শুরুর আগেই এলাকার গ্রাম রক্ষা কমিটির সাথে বৈঠক করা হয়। বৈঠকে গ্রামবাসীদের সব দাবি মেনে শুরু হয় কাজ।








খোলামুখ খনির কাজের  জন্য এলাকা একটি বৃহৎ খেলার স্টেডিয়াম ভাঙ্গা যায়, তার পরিবর্তে এলাকাতেই অন্যত্র স্টেডিয়াম তৈরীর কাজ দ্রুত গতিতে চলছে এমনটাই ইসিএল সূত্রের খবর। খোলামুখ খনির কারণে যে সমস্ত বাসিন্দাদের পুনর্বাসন দেওয়ার দরকার তাদের সকলকেই ধীরে ধীরে সমস্ত দাবিদাবা মিটিয়ে দেওয়া হবে, এমনটা জানালেন সিদুলি কোলিয়ারির এক ইসিএল আধিকারিক। 












গ্রাম রক্ষা কমিটি নেতৃত্বে রয়েছেন খাঁদরা পঞ্চায়েত প্রধান শ্যামলেন্দু অধিকারী। ইসিএলের তরফ এ অভিযোগ করা হয় বারবার গ্রাম রক্ষা কমিটির লোকজন পঞ্চায়েত প্রধানের নেতৃত্বে খনির কাজ বন্ধ করছেন তৃণমূলের দলীয় পতাকা দিয়ে। কোলিয়ারির এজেন্ট রাজকিশোর প্রসাদ সিং ভিডিও কলিং এর মাধ্যমে অভিযোগ করে বলেন, খাঁদরা পঞ্চায়েত প্রধান ঠিক কী কারণে বারবার খনির কাজ গ্রাম রক্ষা কমিটির নাম করে তৃণমূলের দলীয় পতাকা দিয়ে বন্ধ করছেন বুঝতে পারছেন না। এভাবে কাজ বন্ধ হওয়ায় প্রত্যেকদিন সাড়ে 24 লক্ষ টাকা করে ক্ষতি হচ্ছে ইসিএলের বলে জানান তিনি। 












কোলিয়ারির এজেন্ট আরো জানান, এই সময়ে দেশজুড়ে কয়লার সংকট আর কয়লা সংকটের কারনে বিদ্যুৎ ঘাটতি। ঠিক এই পরিস্থিতিতে খনির কাজ বন্ধ করা কোনোভাবেই নৈতিক কাজ নয়। ইসিএলের তরফ থেকে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনারের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।











অন্যদিকে খনির কাজে বরাত পাওয়া ঠিকা সংস্থার মালিক নিন্দু সিং খাঁদরা পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করে বলেন, প্রধান কারণে-অকারণে খনির কাজ বন্ধ করে দিচ্ছেন যার ফলে প্রত্যেকদিন বিপুল পরিমাণ ক্ষতির মুখে পড়েছেন তিনি। প্রত্যেকদিন প্রায় 1 লক্ষ টাকা করে এই মুহূর্তে তার ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান।' নিন্দু বাবু বলেন আমি চাই মানুষের সাথে আলোচনা করে সুষ্ঠুভাবে খনির কাজ হোক। 










ইসিএল ও খনির কাজের বরাত পাওয়া ঠিকাদারের অভিযোগ অস্বীকার করে খাদরা পঞ্চায়েত প্রধান শ্যামলেন্দু অধিকারী বলেন, মানুষের স্বার্থে গ্রাম রক্ষা কমিটি গঠন করা হয়েছে। খনির কাজ শুরুর আগে খনি কর্তৃপক্ষ গ্রাম রক্ষা কমিটির কাছে বৈঠক করে কথা দিয়েছিলেন যে তিন দিনের মধ্যে এলাকার মানুষদের দাবি দেওয়ার কথা লিখিতভাবে দেওয়া হবে । কিন্তু আজ এতগুলো দিন পেরিয়ে গেল খনির কাজ এগিয়েছে অনেকটাই। খনি কর্তৃপক্ষ আজও লিখিত ভাবে কিছু জানায়নি গ্রাম রক্ষা কমিটিকে। তাই গ্রামের মানুষ খনির কাজ বন্ধ করেছেন। 










দলীয় পতাকা দিয়ে বন্ধের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে প্রধান জানান, যেখানে মানুষের জীবন-জীবিকার স্বার্থ জড়িয়ে আছে সেখানে দল থাকবেই ,কারণ মানুষের জন্যই দল। 











যদিও এই বিষয়ে রানীগঞ্জ বিধানসভার বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান দলীয় ঝান্ডা দিয়ে কোন কাজ বন্ধ করা তৃণমূলের দলীয় নীতি নয়। যদি কেউ এটা করে থাকে ব্যাপারটা গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad