নীলেশ দাস, আসানসোল :- ইস্টার্ন রেলওয়ে স্কুলকে বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে আসানসোলের ডিআরএম অফিস বিক্ষোভ দেখালো বাংলা পক্ষ। মঙ্গলবার বাংলা পক্ষের পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটির উদ্যোগে এই বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে।
এদিনের বিক্ষোভে ইস্টার্ন রেলওয়ে স্কুলের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন। এদিনের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে বাংলা পক্ষের পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটির তরফে জানানো হয়েছে ইস্টার্ন রেলওয়ে স্কুলকে বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে।বিক্ষোভ শেষে ডিআরএম অফিসে একটি স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি রেলের স্কুলকে বন্ধ করা চলবে না।
এই প্রসঙ্গে বাংলা পক্ষের পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটির সদস্যরা বলেন, এই ইস্টার্ন রেলওয় হাই স্কুল বহু পুরনো প্রথমে এই স্কুলটি বাংলা মিডিয়াম হিসেবে চালু হয় আস্তে আস্তে এটিকে ইংলিশ মিডিয়ামে পরিণত করে রেল কর্তৃপক্ষ, কিন্তু হঠাৎ করে এখন এই স্কুলটি কে বন্ধ করে দিতে চলেছে। গত সোমবার ডিআরএম সাহেব জানিয়েছিলেন যে রেল কর্তৃপক্ষ জানায় যে সমস্ত প্রকল্পে মুনাফা লাভ হচ্ছে না সে সমস্ত প্রকল্পগুলোকে রেল কর্তৃপক্ষ বন্ধ করে দেবে।
শুধুমাত্র পরিবহনকে নিয়েই রেল কর্তৃপক্ষ চলবে। সেক্ষেত্রে আমরা বাংলা পক্ষ এবং অভিভাবক আজ ডিআরএম সাহেব একটি প্রশ্ন করতে চাই যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে থেকে এই মুনাফা লাভের আওতায় পড়লো। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একটা সমাজ মূলক কাজ রেল কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের আবেদন এই সমাজ মূলক কাজের পরিকল্পনা যাতে বহাল থাকে।
আরও এক সদস্য বলেন, ইস্টার্ন রেলওয়ে হাই স্কুল প্রায় একশো চল্লিশ বছরের পুরনো হঠাৎ করে যদি স্কুল বন্ধ হয়ে যায় তাহলে আমাদের ছেলেদের অবিশ্বাস নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া যায় না সেই জন্যই আজকে অভিভাবকেরা মিলে এই আন্দোলন করছি। আমরা চাইছি আমাদের ছেলেরা যেরকম রেল স্কুলে পড়লছিল সেরকমই স্কুল চালু রাখতে হবে যদি রেল কর্তৃপক্ষ এই স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে আমরা বাধ্য হয়ে আমাদের ছেলেদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে শামিল হবো।
আরও একজন বলেন স্কুলে নোটিশ দেওয়া হয় যে স্কুল বন্ধ হয়ে যাবে সে ক্ষেত্রে আমাদের বাচ্চাদের ভবিষ্যতে কি হবে এরা না বাংলা মিডিয়ামে পড়তে পারবে না হিন্দি মিডিয়ামে। এর জন্য আমরা এখানে আন্দোলন করেছি। আমাদের আশ্বাস দিতে হবে ডিআরএম এবং সিনিয়র ডিপি ও কে, যে আমাদের ছেলেদের পড়াশোনা সহযোগিতা করতে হবে। না হলে আমরা লাগাতার আন্দোলন করে যাব।