শুভময় পাত্র, বীরভূম:- শেষ বেলায় বসন্ত বন্দনা বিশ্বভারতীর। নানান টালবাহানার পর বীরভূমের প্রচণ্ড দাবদাহে কালে বিশ্বভারতীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ সকাল থেকে শুরু হল এক অনাড়ম্বর ঘরোয়া বসন্ত উৎসব।
যেখানে সাধারণ জনগণ তো দূর, সংবাদমাধ্যমের কোন কর্মীরাও প্রবেশ করতে পারেনি এই বসন্ত উৎসব সম্প্রচারের ক্ষেত্রে। বিশ্বভারতীর উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী তার ঘনিষ্ঠ লোকজনদের নিয়ে সঙ্গীত ভবনের ছাত্র-ছাত্রী ও অধ্যাপকদের সহযোগিতায় আজ সকাল থেকে বসন্ত বন্দনায় মেতেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
দোলের দিন যে বসন্ত উৎসব সচারাচর হয়ে এসেছিল শান্তিনিকেতনে সেটা বিগত দুই বছর করোনার কারণে বন্ধ রাখা হয়েছিল। এবছর রাজ্য সরকারের তরফ থেকে মোটামুটি ভাবে 31 শে মার্চ একরকম সরকারি বিধি নিষেধ উঠে যাওয়ার পরেই বিশ্বভারতীর উপাচার্য সিদ্ধান্ত নেয় বসন্ত উৎসব করার।
তাই এপ্রিল মাসেই এই দিনেই সকাল থেকেই শুরু হয়ে যায় বসন্ত উৎসবের আয়োজন। এই অকাল বসন্তে অংশগ্রহণ করতে না পেরে আশ্রমিক ও প্রবীণ ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষোভ আরো বেড়ে গেল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এর আগে অবশ্য বিশ্বভারতীর উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী রাজ্য সরকারের উপর সমস্ত দায় চাপিয়ে বসন্ত উৎসব না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দোল উৎসবের দিন। তাতে যেমন ক্ষিপ্ত হয়েছিল আপামর শান্তিনিকেতন বাসি থেকে শুরু করে বোলপুর সংলগ্ন বিভিন্ন ব্যবসা ও হোটেল মালিকরা।
আর এই অকাল বসন্তের কোনরকম আগাম সূচনা তো দূরের কথা আশ্রম চত্বরে সাধারণের প্রবেশ এর উপর করা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য। শুধু সাধারণ মানুষই নয় সংবাদমাধ্যমকেও একরকম বয়কট করেছে বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষ। এই সমস্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বভারতী কতৃপক্ষ তথা উপাচার্যের উপর রীতিমতো আরো ক্ষোভ বেড়ে গেলো বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ।