সংবাদাতা ,পূর্ববর্ধমান:- পৌর ভোট মিটতে না মিটতে বর্ধমান শহরে উত্তেজনা।এক তরুণীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ালো বর্ধমান পৌরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুরবাগ মসজিদ সংলগ্ন নতুনপল্লীতে। বুধবার বিকালে বাড়ি থেকে এক তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতার নাম তুহিনা খাতুন(১৮)। তাকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।
মৃতের পরিবারের দাবি, তারা তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক। তারা ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি মুক্তার মিঞার অনুগামী। ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী তৃণমূল কাউন্সিলর বসির আহমেদের বিপক্ষ গোষ্ঠী করেন তারা। সেই কারণে, বুধবার জয়ের পর বসির আহমেদ তুহিনার বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেয়। তার জেরেই আত্মহত্যা করেছেন তুহিনা।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বসির আহমেদ। তিনি বলেন, কিভাবে এই ঘটনা ঘটল সেই বিষয় নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। সঠিক তদন্তের দাবী জানাচ্ছি। আমার বিরুদ্ধে হওয়া সমস্ত ঘটনা মিথ্যা। আমরা পরিবারের পাশে আছি।
জয়হিন্দ বাহিনীর ওয়ার্ড সভাপতি মুক্তার মিঞা বলেন,প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বসির আহমেদ ওরফে বাদসা তুহিনাদের বাড়িতে হুমকি দেওয়া শুরু করে।বাড়ির দেওয়ালে তুহিনা সহ তাদের তিন বোনের ছবি এঁকে দিয়েও হুঁশিয়ারী দেওয়া হয়। বুধবার বিকেলে দলবল নিয়ে বাদসা চড়াও হয় তুহিনাদের বাড়িতে । অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়।সেই অপমানে সে আত্মঘাতী হয়েছে। তুহিনা বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিল।একই অভিযোগ করেন মৃতার দিদি ঝর্ণা বেগম।
তবে বাদশা বরাবরই বির্তকে থাকেন। তাঁকে নিয়ে বহুবার বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে এর আগে।কখনো রাজ কলেজের টিচার ইনচার্জকে চড় মারা তো কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তিকে এক ঘরে করা।তবে সব ক্ষেত্রেই শাসকদলের কাউন্সিলর হওয়ায় তিনি বেঁচে গেছেন।