সংবাদাতা,পূর্ব বর্ধমান:- জাতীয় সড়কের সম্প্রসারণের ফলে নালা বুঝে গিয়ে আলুর জমি জলমগ্ন। প্রতিবাদে অবরোধ ক্ষুব্ধ চাষীদের। পূর্ব বর্ধমানের ২ নম্বর জাতীয় সড়কের শক্তিগড় এলাকায় সম্প্রসারণের কাজ চলছে জোরকদমে।বোরোচাষের জন্য ডিভিসির ছাড়া জলে সোমবার রাতে শক্তিগড়,আমড়া ও বড়শুল এলাকার বিঘের পর বিঘে আলুর জমিতে জল ঢুকে গেছে। কার্যত মাথায় হাত আলুচাষীদের।
প্রতিবাদে মঙ্গলবার জাতীয় সড়কের শক্তিগড়ের কাছে জাতীয় সড়কে অবরোধ করেন এলাকার চাষীরা।অবরোধের জেরে যানজটের সৃষ্টি হয়।বাস সহ বিভিন্ন যানবাহন আটকে পড়ে। ঘন্টা খানেক অবরোধ চলার পর পুলিশ ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন চাষীরা।
আমড়া এলাকার বাসিন্দারা আলুচাষী সেখ নজরুল ইসলাম বলেন, প্রথমে জমিতে আলুচাষ করার পর প্রাকৃতিক কারণে চাষীরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।প্রবল বর্ষণে আলুর জমি ডুবে যায়।আলুগাছ পচে যায়।তারপর ফের তারা জমি তৈরি করে আলু চাষ করেন।আর এখন ডিভিসির সেচখালে ছাড়া জল আলুর জমিতে ঢুকে গেছে। পাকাআলু ক্ষতির হবে।তিনি দাবী করেন আমড়া,শক্তিগড় ও বড়শুল নিয়ে কম করে একশো বিঘে জমিতে জল ঢুকেছে। জাতীয় সড়কের সম্প্রসারণের ফলে রাস্তার ধারে থাকা নয়নজুলি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে ডিভিসির সেচখালে ছাড়া জল বাঁধ ছাপিয়ে আলুর জমিতে ঢুকে পড়েছে।
এলাকার আর এক আলুচাষী বাবুল মণ্ডল বলেন, এখন সবেমাত্র জমি থেকে আলু তোলার মরশুম শুরু হয়েছে। এখন চাষীরা চরম সংকটে পড়লো।এবছর আলুর দাম উদ্ধমুখী। বর্তমানে একবস্তা (৫০ কেজি)আলুর দাম ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা।এই অবস্থায় জমিতে জল দাঁড়িয়ে গেলে পাকা আলু পচে যাবে।চাষীরা এবছর এমনিতেই সমস্যায় জেরবার।শীতে বারে বারে অকাল বর্ষণে দু'বার করে আলুচাষ করতে হয়েছে। তাতে বাজারে ও মহাজনী ধারদেনা হয়েছে।
শেষ পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসন ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে চাষীরা অবরোধ তুলে নেন।জাতীয় সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।