নীলেশ দাস, আসানসোল :- গত কয়েক দিন ধরেই সালানপুর এলাকায় দুষ্কৃতীদের তান্ডব বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ রীতিমতো আতঙ্কিত । মঙ্গলবার রাতে ডালমিয়া রেল লাইনের সামনে ধারালো অস্ত্র নিয়ে তিনজন মুখোশধারী দুষ্কৃতী কয়েকজন মোটরসাইকেল আরোহীকে মারধর করে মোবাইল এবং নগদ কিছু টাকা ছিনতাই করে রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যায়। সেই হামলায় শিকার হন ফুলবেড়িয়া গ্রামের পিন্টু নন্দী।
জানা গেছে, ডাবর মোড়ের বাসু চৌহান এর মত তিনিও বনজেমারি কোলিয়ারিতে কাজে যাচ্ছিলেন। তাকেও দুষ্কৃতীদের কবলে পড়তে হয়। আরও জানা গিয়েছে, এরা ডুবুরডিহি গ্রামের ৩ জন লালগঞ্জ এর দুজনের কাছ থেকে টাকা পয়সা কেড়ে নিয়ে মোটরসাইকেল গুলি ছিনিয়ে নেবার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়।
থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে পুলিশ তদন্তে নামে। একই দিনে সৌমেন পাল নামে এক ফিজিওথেরাপিস্ট এর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার হয় তিনি রূপনারায়নপুরের আমডাঙার অনামিকা পাড়ার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। অন্যদিকে সৌমেন বাবুর স্ত্রী অর্চনা দেবী জানান, সেদিন রাতেই ফোনে তার স্বামীর সঙ্গে কথা হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন নার্সিংহোমের কাজ সেরে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। অর্চনা দেবী আরো বলেন, তারপর থেকে আর কোনো যোগাযোগ হয়নি।
বুধবার সকালে মাধাইচকের জঙ্গলে সৌমেন বাবুর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। কি কারণে এই ঘটনা ঘটলো তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। প্রতিবেশীরা বলছেন তার কোনো শত্রু ছিল না। একই পথেই অমিত দাস নামে এক ব্যক্তি বাইকে রূপনারায়ণপুর নিজের বাড়ি ফেরার গামছা বাঁধা ৩ দুষ্কৃতীর মুখে পড়েন তারা ভোজালি দিয়ে তাকে আক্রমণ করতে এসেছিল কিন্তু বাইকের স্পিড ওই ভদ্রলোক নিজের প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম হন। যে জায়গায় এই ঘটনা ঘটেছে তার থেকে কিছুটা দূরে সৌমেন বাবুর দেহ পাওয়া যায়।
পুলিশের অনুমান, সৌমেন বাবু দুষ্কৃতী হামলার শিকার হয়েছেন। এদিকে সানামপুরি কালিতলা মোড়ের মাথায় শ্মশান কালী মন্দিরের প্রধান ফটকের তালার চেইন কেটে ভিতরে পাত্র ভেঙে দানের টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে একদল চোর সোমবার সকালে এলাকার মানুষজন প্রণাম করতে এসে বিষয়টি দেখতে পান। সালানপুর এলাকায় দুষ্কৃতীদের হামলা ক্রমশ বাড়তে থাকায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এর পশ্চিমাঞ্চলের ডিসিপি অভিষেক মোদি, এসিপি কুলটি সুকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সালানপুর থানার ওসি পবিত্র গঙ্গোপাধ্যায় । তারা ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন।