শুভময় পাত্র,বীরভূম:- কলকাতা হাইকোর্ট (kolkata High Court) বিশ্বভারতী কে হোষ্টেল খুলে দিয়ে পরীক্ষার ব্যবস্থা করার কথা বললেও বিশ্বভারতী হোষ্টেল না খুলেই অফ লাইনে পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। ১১ মার্চ থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। আদালত বলেছিল পরীক্ষার আগে ছাত্রছাত্রীরা যেন তাদের হোস্টেল পেয়ে যায় । কিন্তু তার কোন সদিচ্ছাই দেখায়নি বিশ্বভারতী ।
বুধবারও তালা বন্ধ ছিল হোস্টেলে।বিভিন্ন অফিসে তালা বন্ধ থাকায় স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বভারতীর সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীরা। আদালত অবমাননার অভিযোগও উঠছে। আদালতের আদেশ মতো শান্তিপূর্ণ ভাবে ছাত্ররা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। সাধারন ছাত্রদের মতিগতি বুঝতে পেরে আন্দোলনে সামিল হয়েছে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP) ।
দুদিনের মধ্যে হোস্টেল না খুললে উপাচার্যের বাড়ি ঘেরাও করে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিজেপির (BJP) ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (ABVP)। রাজ্যের একমাত্র কেন্দ্রীয় শাসিত বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বভারতী। কেন্দ্রশাসিত সর্বভারতীয় দল বিজেপির (BJP) ছাত্র সংগঠন এবার মাঠে নামতে চলেছে বিশ্বভারতীতে। উপাচার্য দপ্তরের সামনে সাংবাদিক বৈঠক করে হুঁশিয়ারি বিজেপি ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের রাজ্য সম্পাদক সঙ্গীত ভট্টাচার্যের।
প্রসঙ্গত, হোস্টেল খোলাসহ তিন দফা দাবি নিয়ে গত ২৮ শে ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্বভারতী সাধারণ পড়ুয়ারা আন্দোলনে নেমেছে। পড়ুয়া বিক্ষোভের জেরে অচলাবস্থা চলছে বিশ্বভারতীতে। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের (kolkata High Court) নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও বুধবার কার্যত অচল অবস্থায় রয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva-Bharati University) চত্বরে। উপাচার্য দপ্তরে তালা বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। অশান্তি এড়াতে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বীরভূম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে উপাচার্য কেন্দ্রীয় দপ্তর এর সামনে পুলিশ ক্যাম্প করা হয়েছে।
এতদিন ধরে তৃণমূল ও বামপন্থী ছাত্র সংগঠন এই পড়ুয়া আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে আসছিল। এবার তাতে যোগ দিয়েছে বিজেপি ছাত্র সংগঠন।
এদিন উপাচার্য দপ্তরের সামনে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ এর রাজ্য সম্পাদক সঙ্গীত ভট্টাচার্য সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হোস্টেল খোলা দাবি নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। এবার কেন্দ্রীয় সরকারের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হোস্টেল না খুললে উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাড়ি ঘেরাও করে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিলেন।