সংবাদাতা,দুর্গাপুর:- মা স্বাস্থ্য কর্মী, বাবা একটি রাস্তায়ত্ত তেল গ্যাস সংস্থার অস্থায়ী কর্মী. ছেলেবেলা থেকে রুমকি আর ঝুমকির দু চোখের স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হওয়া, কিন্তু দুর্গাপুরের যমজ দুই বোনের দু চোখের স্বপ্ন যে এইভাবে ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে তা নিজেরাও বুঝতে পারেনি এরা। দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার অন্তর্গত রাতুড়িয়া গ্রামের ঝুমকি ও রুমকি গাঙ্গুলী ইউক্রেনে খারকিব ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করতে গিয়েছিল গত ডিসেম্বর মাসে, আটই ডিসেম্বর পৌঁছে যায় ইউক্রেনে। এরপর এম. বি. বি. এস পড়াশোনা করে জীবনের নতুন এক লড়াইয়ে নামে এই দুই যমজ বোন।
বেশ চলছিল, ইউনিভার্সিটির নিজস্ব বেশমেন্ট এখন এদের মাথা গোঁজার জায়গা,সাথে নিরাপদ আশ্রয়। ভারী বুটের শব্দ আর মুহূমুহু বোমের গুলির আওয়াজে আজ রুমকি আর ঝুমকির সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হতে বসেছে।শেষবারের মতো মেয়ের সাথে যোগাযোগ হয় শুক্রবার সকালে, তাও বেশিক্ষন কথা বলা যাচ্ছে না, গতকাল মাঝে মাঝে কিছু সময়ের জন্য যোগাযোগ হলেও, তারপর থেকে আর সময়মতো পাওয়া যাচ্ছে না।
জল নেই, আলো নেই, শীতের পোশাকও নেই, টাকা শেষ, এখন কিভাবে ফিরবে দুই মেয়ে তা ভেবে উঠতে পারছেন না রুমকি আর ঝুমকির মা সুনন্দা গাঙ্গুলী আর বাবা ধীরেন গাঙ্গুলী। দুর্গাপুরের প্রণবানন্দ স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেছিল দুই বোন এরপর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল দুর্গাপুরেরই আরো একটি প্রতিষ্ঠান থেকে, এরপর বেশ কয়েকবার চেষ্টা করার পর, শেষে স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে ইউক্রেন পাড়ি দুই বোনের।
স্বপ্ন পূরণের স্বপ্ন উড়ান যেন আজ অনেকটা ধূসর হয়ে গেছে ভারী বুটের শব্দে. দুই মেয়েকে এখন আদরের স্নেহময়ী কোলে ফিরে পেতে চাইছে এক বাবা মা। চাইছেন সরকার ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করুক দুই মেয়েকে।