সংবাদাতা,দুর্গাপুর:- দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে (Durgapur Hospital) বুধবার সকালে বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিল হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মীরা। এরই মাঝে দুপুর একটা নাগাদ হটাৎ করে অরুন হালদার নামে এক ব্যাক্তি হাসপাতালের ইমার্জেন্সি গেটের সামনে চলে আসে, যেখানে বসে আন্দোলন করছিল হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মীরা। দু এক কথা হতে হতে অরুন হালদার নামে ঐ ব্যাক্তি হটাৎ আন্দোলরত এক মহিলা অস্থায়ী কর্মীর গায়ে হাত দেন বলে অভিযোগ, এমনকি অশাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেও বলে অভিযোগ।
এরপর সরকারী হাসপাতালের ভেতর ঢুকে প্রথম হাসপাতাল কর্মীদের ধমক দেন, কথা কাটাকাটি হতে হতে ঐ ব্যাক্তি হাসপাতাল সুপার ডক্টর ধীমান মন্ডলের চেম্বারে ঢুকে তাকে মারতে যায় বলে অভিযোগ।খবর পেয়ে গেটের মুখে আন্দোলনরত অস্থায়ী কর্মীরা ঐ ব্যাক্তিকে ঘিরে ধরে তুমুল বিক্ষোভ শুরু করে দেয়, রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা হাসপাতাল চত্বর, উত্তেজিত আন্দোলনকারীদের হাত থেকে কোনোরকমে অরুন হালদার নামে ঐ ব্যাক্তিকে উদ্ধার করে নিউটাউনশীপ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এই ঘটনার জেরে হাসপাতাল গেটের বাইরে আন্দোলনরত অস্থায়ী কর্মীরা তুমুল বিক্ষোভ শুরু করে দেয়, পড়ে পুলিশ এলে তাদেরকেও ঘিরে ধরে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে দেয় আন্দোলনরত হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মীরা। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ছুটে আসে, ঘিরে দেওয়া হয় গোটা হাসপাতাল চত্বর।
দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল সুপার ডক্টর ধীমান মন্ডল জানান, বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। নিরাপত্তা হীনতার অভিযোগও আনেন তিনি। প্রাইসই ওই ব্যাক্তি হাসপাতালে এসে অশান্তি তৈরী করেন বলে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডক্টর ধীমান মন্ডলের অভিযোগ। এইভাবে কাজ করাও সম্ভব নয় বলে জানান হাসপাতাল সুপার। গোটা ঘটনায় চাপা উত্তেজনা দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে, নতুন করে অশান্তি এড়াতে পুলিশ মোতায়ন রয়েছে সরকারী হাসপাতালে।