সংবাদাতা,দুর্গাপুর:- দুর্গাপুরে (Durgapur) দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার (SBSTC) কর্মচারীর শ্রমিক তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়নেরবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানের সংস্থার তৃণমূল কর্মচারী ও শ্রমিক সংগঠনের সভায় মূল বক্তা ছিলেন মদন মিত্র (Madan Mitra)। মদন মিত্র বলেন কোনরকম গোষ্ঠী দ্বন্দ চলবে না। সবাইকে নিয়েই চলতে হবে তাই এই কর্মচারী সংগঠন কে ভেঙ্গে নতুন করে কোনো সংগঠন করা যাবে না।
তবে এও তিনি বলেন অভিজিৎ ঘটককে যেমন মেনে নিতে হবে পশ্চিম বর্ধমান তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি হিসেবে তেমনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) কেও রাজ্য সভাপতি হিসেবে মেনে নিতে হবে। তিনি বলেন আমার হৃদয়ে মমতা নয়নে অভিষেক । মমতার (Mamata Banerjee) পর অভিষেক ছাড়া অন্য কোন মুখ আমি দেখতে পাই না। পোস্টারে শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি থাকবে অভিষেক এর ছবি থাকবেনা কেন এ নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন।
তিনি বলেন আমি এর জন্য চিঠি লিখেছি অনুমতি নেওয়ার জন্য। অভিষেককে দেখলে আমার প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির কথা মনে পড়ে যায় তার বাচনভঙ্গি তার সৌন্দর্য মানুষকে সম্মোহিত করার ক্ষমতা সবকিছুই অভিষেকের মধ্যে আছে। তিনি বলেন শুভেন্দু অধিকারী (Subhendu Adhikari) পরিবহন মন্ত্রী থাকার সময় এই সংস্থা কে ধ্বংস করে দিয়েছে তবে এখন বেশি শুভেন্দু অধিকারীর সম্বন্ধে বললে তিনি কেস খেয়ে যাবেন কারণ শুভেন্দু অধিকারী ও ফিরে আসার লাইনে রয়েছে তাই তিনি ফিরে এলে তাকে আমাকে মাসতুতো ভাই হিসেবে মেনে নিতে হবে।
কারণ দল যদি মনে করে তাকে দায়িত্ব দেবে ফিরিয়ে আনবে তাহলে আমাকেও মেনে নিতে হবে কারণ আমি সবথেকে দলের মধ্যে শৃঙ্খলা পরায়ন। এটা নিয়ে কেউ কখনও প্রশ্ন তুলতে পারবে না দল যা বলে আমি তাই করি আমার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ করলে তার পাল্টা চিঠি আমি পকেট এ নিয়ে ঘুরি কোথায় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়েছে তা জানার জন্য।
আজকে কুয়াশা মেঘাচ্ছন্ন এই পরিবেশে মিটিং তিনি গান গেয়ে ফেললেন এবং বললেন এই পরিবেশকে ....ও লাভলী.....মঞ্চে তিনি বলেন সকলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চলার কথা পুরনো সংগঠন না ভেঙে সকলকে নিয়ে একসঙ্গে চলতে হবে। তবে আজকে অনুষ্ঠান থেকে এটা পরিষ্কার যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যাতে না হয় এবং পুরনো ইউনিয়নের সকলেই যাতে প্রাধান্য পায় তার জন্যই তিনি এই সভা করে গেলেন পুরনো কর্মচারী ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের সঙ্গে।
এবং তিনি এটাও বললেন আমার মিটিং এর পরে যেন কোনো পাল্টা মিটিং না হয় যদি হয় সেই মিটিং-এ আমিও থাকব। এখন দেখা যাক মদন মিত্রের এই বার্তা দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা কর্মচারী ইউনিয়ন কে কতটা সংঘবদ্ধ করে রাখতে পারে।