সংবাদাতা,পূর্ব বর্ধমান:- এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে ফের অশান্তি ছড়ালো বর্ধমানে।শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তেজনা ছড়ায় মঙ্গলবার বর্ধমানের নবাবহাট এলাকায়।দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়।(Purba Bardhaman News) ঘটনায় জখম হয় একজন তৃণমূল কর্মী।বর্ধমান ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কাকলী গুপ্ত তা ও বেলকাশ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জাহানারা খাতুনের অনুগামীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে অশান্তি হয় বলে অভিযোগ।
প্রধানের অনুগামী তথা ঘটনায় আহত সেখ আজিমের অভিযোগ, সকালে ব্লক সভাপতি কাকলী গুপ্ত তা এর অনুগামী দিলীপ ও ইসলামের নেতৃত্বে ১৫ জনের একটি দল লাঠি,বন্দুক ও তলোয়ার নিয়ে নবাবহাটের যুব তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে আক্রমণ চালায়।ভাঙচুর চালানো হয় অফিসে।প্রতিবাদ করলে তাদের বেশ কয়েকজন কর্মীকে মারধর করা হয়।মূলত বাসস্ট্যাণ্ড এলাকার দখল নিতেই আক্রমণ চালানো হয়েছে বলে তার অভিযোগ।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে ব্লক সভাপতি কাকলী গুপ্ত তা জানান,এটা নিতান্তই দুটি পাড়ার ঘটনা।এর সঙ্গে দলের কোনো যোগ নেয়।ইচ্ছাকৃতভাবেই দল ও তার নাম জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে তাকে বদনাম করার জন্য।দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর যারা করেছেন তাদের চিহ্নিত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
অন্যদিকে বিজেপি বর্ধমান সদর সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র জানান,তৃণমূলের তোলাবাজি নিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়।নবাবহাট বাসস্ট্যাণ্ডে তৃণমূলের নাম করে তোলা আদায় করা হয় সেই টাকার ভাগ নিয়েই এই দ্বন্দ্ব।যার ফলে এলাকার মানুষ ভিত সন্ত্রস্ত।যা কাম্য নয়।প্রশাসনের অবিলম্বে বিষয়টি দেখা দরকার।
যদিও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার করে পূর্ববর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস জানান,এর সঙ্গে দল কোনোভাবেই যুক্ত নয়।যে বা যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিক।