সংবাদাতা,পূর্ব বর্ধমান:- সরকারি জমি দখল করার করার অভিযোগকে ঘিরে চাঞ্চল্য বর্ধমানে। তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের মদতে ঘটেছে এই ঘটনা, এমনই অভিযোগ ঐ পঞ্চায়েতের দুই পঞ্চায়েত সদস্যর। ঘটনাটি ঘটেছে বৈকুন্ঠপুর-২ পঞ্চায়েতের অন্তর্গত গোপালনগর এলাকায়। (Purba Bardhaman News)
পঞ্চায়েত সদস্যা মিতা দাসের অভিযোগ,গোপালনগর এলাকার সেচ দপ্তরের সরকারি জায়গা পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের মদতে স্থানীয় তৃণমূল নেতা মহম্মদ হোসেন রাতারাতি বাঁশ দিয়ে ঘিরে ফেলেছেন। শাসকদলের তকমা লাগিয়ে অর্থের লোভে অবৈধভাবে কাগজপত্র তৈরী করে এই সরকারি জায়গাটি বিক্রি করে দেওয়ার চক্রান্ত করছে তারা।এই বিষয়ে বৈকুন্ঠপুর-২ পঞ্চায়েতের সদস্য মিতা দাস ও আরেক সদস্য হেমন্ত খাঁ প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
ইতিমধ্যেই তারা পূর্ব বর্ধমান জেলাশাসক,বর্ধমান সদর মহকুমা শাসক (উত্তর),বর্ধমান সেচ দপ্তর ও বৈকুন্ঠপুর পঞ্চায়েতে অভিযোগ জানিয়েছেন এই দুই সদস্য। তাদের দাবী, প্রশাসন এই বিপুল পরিমাণের সরকারি জায়গা টি অসাধু প্রমোটারদের হাত থেকে পুনঃউদ্ধার করুক।
সেই সঙ্গে এই জায়গায় শিশুদের জন্য পার্ক বা স্বচ্ছ জল প্রকল্পের মতো পরিকল্পনা গ্রহন করুক যাতে গ্রামবাসীরা উপকৃত হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বর্ধমান থানার পুলিশ।পাশাপাশি উপপ্রধানের মদতে এলাকায় একাধিক অনৈতিক কাজ হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন পঞ্চায়েত সদস্য হেমন্ত খাঁ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বৈকন্ঠপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত মাঝেমধ্যেই গোষ্ঠী কোন্দলের কারনে খবরের শিরোনামে আসে। এই পঞ্চায়েতের প্রধান আসনটি তপশিলি মহিলা সংরক্ষিত। গোষ্ঠীকোন্দল জেরে পদত্যাগ করেছেন আগের প্রধান। বর্তমানে উপপ্রধানই সমস্ত কার্যভার সামলাচ্ছেন। যদিও দলের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ গোষ্ঠী কোন্দলের কথা অস্বীকার করেছিলেন।
বর্তমানে সমস্ত দ্বায়িত্ব সামলানো উপপ্রধান গোপাল বিশ্বাস তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।পঞ্চায়েত সদস্যরা তার নামেই কেন অভিযোগ করছেন এবিষয়ে তিনি কিছু বলতে চাননি। পাশাপাশি ঐ সদস্যদের জমি দখল সংক্রান্ত অভিযোগ পেয়েছেন এবং ঘটনার তদন্ত হবে বলে জানান তিনি।
যার বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ সেই স্থানীয় তৃণমূল নেতা মহ হোসেন টেলিফোনে জানিয়েছেন এই ঘটনার সাথে তিনি যুক্ত নন।