নিজস্ব প্রতিনিধি:- সোমবার রাজ্যে শুরু হল ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী স্কুল পড়ুয়াদের কোভিড টিকাকরণ কর্মসূচি। স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে টিকা নিতে ভীতি বা দ্বিধা যাতে না থাকে সেই জন্য বেশ কয়েকদিন ধরেই প্রশাসনিক স্তরে চলছিল প্রস্তুতি।রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী সোমবার থেকে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী ছাত্র-ছাত্রীদের টিকাকরণ কর্মসূচির সূচনা হলো কাঁকসা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে।সোমবার উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ১০০ জনকে টিকা দেওয়া হয়।
কাঁকসার ভিডিও সুদীপ্ত ভট্টাচার্য জানিয়েছেন আজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হলো।এরপর আগামী দিনে কাঁকসা ব্লকের সমস্ত স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া সুরু হবে।ভ্যাকসিন নিতে পেরে খুশি ১৫ থেকে ১৮ বছরের ছাত্রছাত্রীরা।
এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাঁকসা ব্লকে বিডিও সুদীপ্ত ভট্টাচার্য, কাকসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বি এম ও এইচ ডক্টর বিপ্লব মন্ডল, কাঁকসা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা, এবং স্কুল পরিদর্শক সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।
এদিন দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের ইচ্ছাপুর এনসি হাইস্কুলে গিয়ে দেখা যায় টিকা নিতে উৎসাহিত ছাত্রীদের উপস্থিতি । স্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় দাস ও স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি সুজিত মুখোপাধ্যায় জানান টিকা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি অভিভাবকদের মধ্যেও সচেতনতা গড়ে তোলা হয়েছে ।
আজ টিকা নেওয়ার জন্য দ্বাদশ শ্রেণীর 100 জন ছাত্র-ছাত্রী নাম নথিভুক্ত করিয়েছিল । তারা সকলেই এদিন টিকা নিয়েছে বলে জানান তারা । লাউদোহা ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আধিকারিক জানান প্রথমদিন নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে পড়ুয়াদের টিকাকরণ এর কাজ ।
পাশাপাশি এদিন বর্ধমানের মিউনিসিপ্যাল বয়েজ স্কুলে পড়ুয়াদের কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক শম্ভুনাথ চক্রবর্তী জানান দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রদের প্রথম পর্বে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।মোট ২৮১ জন ছাত্র কোভিড ভ্যাকসিন নেয়।
পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমান জেলার আউসগ্রাম বিধানসভার কয়রাপুর গ্রামে বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠ উচ্চ বিদ্যালয় ভ্যাকসিনেশন শুরু হলো সোমবার থেকে। এদিন প্রায় দু'শোজন ছাত্র-ছাত্রীকে স্কুলে ভ্যাকসিন দেওয়া হয় ।
আর এই ভ্যাকসিনেশনের স্কুল কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন আউসগ্রাম বিধানসভার বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডার।বিধায়ক নির্দেশ দিয়ে যান যে সব ছাত্রছাত্রী স্কুল ছেড়ে দিয়েছেন বা গ্রামের কোন কাজে যুক্ত আছে তারাও এই স্কুলে এসে আধার কার্ড দেখিয়ে ভ্যাকসিন নিতে পারবে।