নীলেশ দাস ,আসানসোল:- আসানসোলের কুলটি (Kulti) থানা এলাকায় সাত সকালে শুটআউটের ঘটনা ঘটলো। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। বুধবার আসানসোলের কুলটি থানার অন্তর্গত সাকতোড়িরিয়া ফাঁড়ি এলাকার শীতলপুর তুলসী হীড় সংলগ্ন এক মাঠের পাশে এক ঝুপড়িতে এই ঘটনাটি ঘটে বুধবার সকালে। মৃতের নাম পরেশ মাঝি।
জানা গিয়েছে, পরেশ মাঝিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌচ্ছে দেহ উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষনা করেন।
মৃত পরেশ মাঝি,তুলসী হীড় এলাকায় বাসিন্দা বলে জানা গেছে। তবে বিগত কয়েক বছর ধরে তিনি বাড়িতে থাকতেন না। এই ঘটনায় কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃতের পরিবারের সদস্যরা।তবে কি কারণে এই খুন তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে হীরালাল সোনা পাউড়ি নামের এক স্থানীয় ব্যাক্তি জানান, আজ সকাল আটটা থেকে সাড়ে আটটা নাগাদ পরেশ মাঝি এখানে আসে। সেখানে এসে গরু বাছুর গুলিকে দেখাশোনা করতো আর এখানে একটি ঝুপড়ির কাছে বসে থাকতো।
তিনি জানান দুষ্কৃতী এসে তিনটি গুলি করে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। তিনি আরো বলেন, আমাদের আদিবাসীদের উপরই শুধু কেনো এমন আক্রমণ করা হচ্ছে। কিছু দিন আগেই নিখোঁজ এক আদিবাসীর মৃত দেহ নদী থেকে পাওয়া যায়। আজ এই ঘটনা। কুলটির পুলিশ প্রশাসন কী কাজ করছে। মৃত ব্যাক্তির সাথে কারো তেমন কোনো শত্রুতাও ছিল না। এই রকম ঘটনা কেনো ঘটলো তা বুঝতে পারছি না।
মৃত পরেশ মাঝির স্ত্রী মঙ্গলী মাঝি জানান, তার স্বামী এখানে থাকতো না, নদীর ওপারে দিদির বাড়িতেই থাকতো। এখানে প্রায় পাঁচ বছর থাকতো না। মাঝে মাঝে এখানে আসতো, আবার চলে যেতো। শেষ বাঁধনা পরবের সময় এখানে এসেছিল। আমার স্বামী নেশা করতো, কিন্তু তার সাথে কারো কোন শত্রুতা ছিল না।
অভিজিৎ আচার্য্য নামে একজন ব্যাক্তি জানান, আজ সকালে এক জনকে ওপেন গুলি করে হত্যা করা হলো। কয়েকদিন আগে আর এক আদিবাসীর গলা কাটা দেহ নদীতে পাওয়া যায়। এখানে কেনো আদিবাসীকে টার্গেট করা হচ্ছে সে ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনকে তদন্ত করা উচিত। এখন সবার হাতে বন্দুক, যে যাকে পারছে মেরে দিয়ে চলে যাচ্ছে। এই সব ঘটনার পেছনে কারা রয়েছে তাদের খুঁজে বার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে পুলিশ প্রশাসনকে। তবেই এইরকম ঘটনা বন্ধ করা যাবে।
অন্যদিকে ডিসি ওয়েস্ট অভিষেক মোদী জানান, পুলিশের কাছে খবর আসে এখানের মাঠের কাছে এক ব্যক্তিকে গুলি করা হয়েছে। পুলিশ এসে সেই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ব্যক্তিটির শরীরে দু থেকে তিনটি গুলি লাগার চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তদন্ত শেষে সঠিক তথ্য জানানো সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।