সংবাদাতা,পূর্ব বর্ধমান:- এসটিএফ বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে দু'জনকে গ্রেফতার করেছে। উদ্ধার করেছে প্রায় ১৩ কেজি গাঁজা সহ প্রচুর মাদকের উপকরণ।
রবিবার গভীররাতে এসটিএফের একটি টিম বর্ধমান শহরের বিবেকানন্দ কলেজমোড় ও পাল্লা শ্রীরামপুর এলাকায় হানা দেয়। সঙ্গে ছিল বর্ধমান থানার পুলিশ।
বিবেকানন্দ কলেজ মোড় থেকে এসটিএফ দু'জনকে গ্রেফতার করেছে।ধৃতদের নাম বাবর মণ্ডল ও রাহুল মণ্ডল।
এসটিএফ অভিযানে বর্ধমান শহরের উপকন্ঠে মাদক চক্রের হদিশ মিললো। মিলনো কারখানার হদিস। ঘটনায় দু'জনকে গ্রেফতার করেছে স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের আধিকারিকরা।ধৃতরা সম্পর্কে বাবা ও ছেলে।বাবার নাম বাবর মণ্ডল ও ছেলের নাম রাহুল মণ্ডল।
এদের বাড়ি ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে পালার মোড়ের কাছে গোপালনগর এলাকায়।রবিবার রাতে এসটিএফের অভিযানে দু'জনকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে ১৩ কেজি গাঁজা সহ প্রচুর মাদকের উপকরণ। মিলেছে কারখানার হদিস। সেখান থেকে টাকা গণনা করার মেশিন, ওয়েট মেশিন পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে। উদ্ধার হয় ২০ লক্ষের বেশী টাকা।
ধৃতদের প্রথমে রাতে বর্ধমান থানায় রাখা হয়।সোমবার বেলায় তাদের হাওড়ার গোলাবাড়ি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।কারখানায় প্রচুর সংখ্যক প্লাস্টিকের জার পাওয়া গেছে। যদিও ধৃত বাবরের স্ত্রী সাবিনা মণ্ডল ও ছোট ছেলে রাজ কিছু জানি না বলে এড়িয়ে যায়।
প্রতিবেশীরা জানান এই পরিবারের সঙ্গে পাড়া প্রতিবেশীদের তেমন কোন সখ্যতা ছিল না। স্থানীয় বাসিন্দা মিঠু মালাকার বলেন,সব সময়েই ওদের ঘরের দরজা বন্ধ করে রাখা হত।তবে বাবর মণ্ডল জমি কেনাবেচার কারবারি বলে এলাকার বাসিন্দারা জানতেন।
কিন্তু এলাকার কেউই ঘূনাক্ষরেও টের পায় নি তলায় তলায় এলাকায় এত বড় মাদকের একটি কারখানা আছে।সেখানে এই সব চলছে। স্ত্রী সাবিনা মণ্ডল বলেন,বাড়িতে মুখ বন্ধ করা জার আসতোসেই সেগুলো আবার অন্যত্র পাঠানো হত।এর বাইরে সে কিছু জানে না।তবে ঘটনায় এলাকার বাসিন্দারা হতবাক।
এই বিষয়ে জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু বলতে অস্বীকার করা হয়।অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহ রায় জানান,এই বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারবো না।এসটিএফ সূত্রে জানা গেছে মাদকচক্রের ভিন্ন কাণ্ডে আরো কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।