সংবাদাতা,পূর্ব বর্ধমান:- বর্ধমানে (Burdwan) ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনার পর এবার নড়েচড়ে বসলো জেলা পুলিশ প্রশাসন। মঙ্গলবার জেলার ভাতার ও খণ্ডঘোষ থানায় এলাকার ব্যাঙ্ক কর্মীদের নিয়ে বৈঠক হল। এদিন ভাতার থানার ওসি সৈকত মণ্ডল জেলা পুলিশের আধিকারিকদের নিয়ে এবং ভাতার থানার সমস্ত ব্যাঙ্ক ম্যানেজারদের নিয়ে বৈঠক করেন ভাতার থানায় (Purba Bardhaman News)।
ব্যাঙ্ক (Bank) গুলিতে সিসি ক্যামেরা (CCTV Camera) লাগাতে বিষয়ে আলোচনা হয়।ভাতারের অধিকাংশ ব্যাঙ্কের সামনে সিসি ক্যামেরা নেই। ব্যাঙ্ক ম্যানেজারদেরকে ব্যাঙ্কের সামনে সিসি ক্যামেরা (CCTV Camera) লাগানোর অনুরোধ জানায় ভাতার থানার ওসি।
অন্যদিকে খণ্ডঘোষ থানায় খণ্ডঘোষ ব্লকের বিভিন্ন ব্যাঙ্কে আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন থানার ওসি পুষ্পেন্দু জানা। আলোচনা সভা থেকে ব্যাঙ্কের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়। ব্যাঙ্কের আধিকারিকদেরকে খণ্ডঘোষ থানার ওসি পুষ্পেন্দু জানা বলেন প্রত্যেকে নিজের নিজের ব্যাঙ্কে সিসিটিভি (CCTV) সচল রাখতে হবে। এছাড়াও বিভিন্ন দিক থেকে ব্যাঙ্কের সুরক্ষায় রাখতে হবে কড়া নজরদারি।
প্রসঙ্গত,গত শুক্রবার বর্ধমান কার্জনগেটের পাশে বৈদ্যনাথ কাটরার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা থেকে লুট হয় ৩৩ লক্ষ টাকা।তদন্তে নেমে তড়িঘড়ি ডাকাতির ঘটনায় সিট গঠন করার কথা জানান জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন।দুস্কৃতিদের নাগাল পেতে জেলাজুড়ে শুরু হয় নাকা চেকিং।কিন্তু দুস্কৃতিরা লুট করে গা ঢাকা দেয়।ঘটনার পাঁচ দিন পরও এখনো দুস্কৃতিদের নাগাল পায় নি পুলিশ।
শুক্রবার সকাল দশটায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কেরর ওই শাখা চালু হতেই ৬ জনের একটি দুস্কৃতী দল ব্যাঙ্কের ভিতরে গ্রাহক সেজে ঢোকে।ব্যাঙ্কের ভিতর ঢুকে তারা নিজমূর্তি ধারণ করে। তাদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল।পিঠে ছিল স্কুল ব্যাগ।দুস্কৃতিদের মুখ ঢাকা ছিল কাপড় দিয়ে।
তখন সবেমাত্র ব্যাঙ্কের শাখায় লেনদেন শুরু হয়েছে। হাতেগোনা ১০ - ১৫ জন গ্রাহক ব্যাঙ্কের ভিতর। দুস্কৃতিরা গ্রাহক ও ব্যাঙ্ককর্মীদের মোবাইল ফোন প্রথমে কেড়ে নেয়।তারপর ব্যাঙ্ক কর্মীদের মারধর করে লুটপাট চালায়। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ডাকাতদলটি লুটপাট করে চম্পট দেয়। লুট করে পালানোর সময় ব্যাঙ্কের গেটে তালা দিয়ে যায় দুস্কৃতীরা।