নীলেশ দাস ,আসানসোল:-পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল পৌরনিগমের নির্বাচনে বেশ কয়েকজন তৃনমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন কাউন্সিলর কে টিকিট দেওয়া হয় নি, টিকিট না পাবার পর তারা দলের উপর বীতশ্রদ্ধ হয়ে নির্দল হয়ে মনোনয়ন পত্র জমা করেছিলেন।
যারমধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা বরো চেয়ারম্যান মীর হাসিম, তার নাম পুনর্বিবেচনার জন্য প্রাক্তন বিধায়ক উজ্জ্বল চ্যাটার্জী মন্ত্রী মলয় ঘটকের কাছে আবেদন করেছিলেন কিন্তু তার আবেদন গ্রাহ্য না হওয়ায় মীর হাসিম নির্দল প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন পত্র জমা করেন।
৭২ ঘন্টার মধ্যে ইউটার্ণ নিয়ে মীর হাসিম তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেন। বৃহস্পতিবার প্রার্থী পদ প্রত্যাহারের দিন মীর হাসিম সহ আরো কয়েকজন প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করলেন। ৫৯ নং ওয়ার্ডের মীর হাসিম, ১০২ নং ওয়ার্ডের সরোজ কর্মকার, ৮০ নম্বর ওয়ার্ডের বিনোদ চৌধুরী, ৬০ নম্বর ওয়ার্ডের ললিতা সাউ, তৃনমূল কংগ্রেসের উপর বীতশ্রদ্ধ হয়ে নির্দল হয়ে মনোনয়ন পত্র জমা করেছিলেন তারা আজ তাদের প্রার্থী পদ থেকে প্রত্যাহার করলেন।
এদিন মীর হাসিম জানান, কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল, তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মলগ্ন থেকে দল করে আসছেন টিকিট না দেওয়াতে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন পরে নিজের ভুল বুঝতে পেরে নির্দল হয়ে প্রার্থী হবার পরিকল্পনা থেকে সরে এসে তার প্রার্থী পদ থেকে প্রত্যাহার করেন। তিনি জানান তিনি তার ওয়ার্ডের তৃনমূল কংগ্রেসের প্রার্থীকে জিতিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতকে শক্তিশালী করবেন।
পাশাপাশি ১০২ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী হিসেবে সরোজ কর্মকার মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছিল। শেষমেষ বৃহস্পতিবার তিনি পদ প্রার্থী থেকে প্রত্যাহার করেন। এদিন তিনি জানান আজ আমি সেচ্ছাই প্রত্যাহার করলাম। দল আমাকে এক সময় টিকিট দিয়ে কাউন্সিলর বানিয়েছিল মানুষের সেবা করেছিলাম।
আজ যদি আমি দলের বিরুদ্ধে কাজ করি তাহলে দল বিরোধী কাজ হবে। আমি দল বিরোধী কাজ করতে চাইনা আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। তবে ক্ষোভ ছিলো একটু আমাকে টিকিট দেইনি, যেমন বাড়িতেও ঝগড়া হলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় তারপর আবার বাড়িতে চলে আসে সেইরকমই চলে এলাম বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে আসানসোল পৌর নিগমের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী শারিক আখতার প্রার্থী পদ থেকে প্রত্যাহার করেন। এদিন তিনি বলেন, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে যে লড়াই ছিলো তৃণমূল এবং কংগ্রেসের কিন্তু দেখা যায় তৃণমূল এবং কংগ্রেসের লড়াইয়ে বিজেপি না বেরিয়ে যায় সেই ভয় ছিলো। বিজেপিকে রোখার জন্যে কংগ্রেস জীবন দিয়ে লড়াই করছে সারা দেশে। যাতে বিজেপি ওই ওয়ার্ড থেকে যেনো না বেরোই এবং কোনো দ্বন্দ্ব না হয়। তার জন্যেই এই প্রত্যাহার করলাম বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে শেষ পাওয়া খবর বৃহস্পতিবার ২৯ জন প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করেন। দেখার এবার পৌর নিগম নির্বাচনে আসানসোল পৌর নিগমের বোর্ড কে ধরে রাখতে পারবে সেইটাই দেখার।