সংবাদাতা, পূর্ব বর্ধমান:- বর্ধমানে ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনায় (Burdwan Bank Robbery Case) তদন্তে এল ফরেন্সিক টিম (Forensic Team)। গত ২১ জানুয়ারি বর্ধমান শহরের কার্জনগেটের পাশে বৈদ্যনাথ কাটরার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের (Bank) শাখা থেকে লুট হয় প্রায় ৩৩ লক্ষ টাকা।সেদিন সকাল দশটায় ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ওই শাখা চালু হতেই ৬ জনের একটি দুস্কৃতী দল ব্যাঙ্কের ভিতরে গ্রাহক সেজে ঢোকে।ব্যাঙ্কের ভিতর ঢুকে তারা নিজমূর্তি ধারণ করে। তাদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল।পিঠে ছিল স্কুল ব্যাগ।দুস্কৃতিদের মুখ ঢাকা ছিল কাপড় দিয়ে (Purba Bardhaman News)।
তখন সবেমাত্র ব্যাঙ্কের (Bank) শাখায় লেনদেন শুরু হয়েছে। হাতেগোনা ১০ - ১৫ জন গ্রাহক ব্যাঙ্কের ভিতর। দুস্কৃতিরা গ্রাহক ও ব্যাঙ্ককর্মীদের মোবাইল ফোন প্রথমে কেড়ে নেয়।তারপর ব্যাঙ্ক কর্মীদের মারধর করে লুটপাট চালায়। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ডাকাতদলটি লুটপাট করে চম্পট দেয়। লুট করে পালানোর সময় ব্যাঙ্কের গেটে তালা দিয়ে যায় দুস্কৃতীরা।
তদন্তে নেমে তড়িঘড়ি ডাকাতির ঘটনায় সিট গঠন করার কথা জানান জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন।দুস্কৃতিদের নাগাল পেতে জেলাজুড়ে শুরু হয় নাকা চেকিং।কিন্তু দুস্কৃতিরা লুট করে গা ঢাকা দেয়।বৃহস্পতিবার সকালে চিত্রাক্ষ সরকারের নেতৃত্বে দুই সদস্যের ফরেন্সিক টিম ব্যাঙ্কে তদন্ত করতে আসে। সঙ্গে ছিল বর্ধমান থানার পুলিশ। তারা ব্যাঙ্কে এসে ফিঙ্গার প্রিন্টের নমুনা সংগ্রহ করেন।
শহরের প্রাণকেন্দ্রে এই রকম দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় গত শুক্রবার । এর আগে বর্ধমানের বি সি রোডের উপর ২০২০ সালের ১৭ জুলাই একটি স্বর্ণ ঋণ দান কারী সংস্থায় ডাকাতি হয়।২০০৮ সালে জানুয়ারি মাসেই বৈদ্যনাথ কাটরায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় ৩৫ লক্ষ টাকা লুট হয়।সুতরাং একের পর ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও পুলিশ প্রশাসন যে কোন ব্যবস্থা নেয় নি।এটা তার জলন্ত উদাহরণ।