নীলেশ দাস ,আসানসোল:-করোনা মোকাবিলায় সামাজিক সুরক্ষার পাশাপাশি মাস্ক ব্যাবহারের উপরেই বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে দিয়ে কিছুটা রাস টানা যাবে করোনার বৃদ্ধি পাওয়া গ্রাফকে। এমনি মত বিশেষজ্ঞ মহলের।
সারা দেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যেও লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। আর সেই কোভিড মোকাবিলায় ইতিমধ্যে রাজ্যে সোমবার থেকে জারি হয়েছে একাধিক বিধি নিষেধ। পাশাপাশি চিকিৎসক মহলের পক্ষ থেকেও করোনা মোকাবিলায় সামাজিক সুরক্ষার পাশাপাশি মাস্ক ব্যাবহারের উপরেই বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।
যার মধ্যে দিয়ে কিছুটা রাস টানা যাবে করোনার বৃদ্ধি পাওয়া গ্রাফকে। এমনি মত বিশেষজ্ঞ মহলের। এদিকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জারি করা বিধি নিষেধ আরোপের পরেই রাজ্যের একাধিক জেলায় বিনা মাস্কে রাস্তায় বেরোনো ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ প্রশাসন।
এদিকে এরই মাঝে আগামী ২২ শে জানুয়ারি ২০২২ রাজ্যের পাঁচ পৌর নিগম এলাকায় হতে চলেছে পৌর নির্বাচন। আর কোভিড বিধিকে মেনে যে নির্বাচন করা কার্যত চ্যালেঞ্জের মুখে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
আর সেই নির্বাচন পরিচালনা করতে গিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে মনোনয়ন পত্র তোলা থেকে জমা দেওয়া, এমনকি ভোটের দিনও জারি করা হয়েছে মাস্ক বাধ্যতা মূলক করা হয়েছে কমিশনের পক্ষ থেকে।
কিন্তু এতো কিছুর পরেও সমস্ত বিধি নিষেধকে শিকেয় তুলে আসানসোল শহরে চলছে আসানসোল পৌর নিগমের নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পত্র পেশ। আর সোমবার ছিল সেই মনোনয়ন পত্র জমা দেবার শেষ দিন। আর এদিন সমস্ত করোনা বিধিকে শিকেয় তুলে আসানসোল জুড়ে চললো ভোটের মনোনয়ন পত্র পাশের কাজ।
আর বিধিনিষেধকে শিকেয় তোলার কাজে শাসক থেকে বিরোধী পিছিয়ে নেই কোন রাজনৈতিক দলই। যেখানে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে যাওয়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বহু কর্মীর মুখে নেই সামান্য মাস্কটুকুও। আর যা প্রশ্ন তুলেছে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা থেকে শুরু করে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে।
আর এর পরেই বহু সাধারণ মানুষের প্রশ্ন যেখানে রাজ্য জুড়ে করোনার বিধি নিষেধ লাগু হয়েছে। যেখানে করোনার বিধি নিষেধের জাতায় পড়ে সমস্যায় পড়েছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। সেখানে রাজনৈতিক দলের কর্মীদের এমন আচরণ কেন? এখন তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
এদিকে রাজনৈতিক দলের নেতা থেকে কর্মীরা কিন্তু দুশেষে পরস্পরের বিরুদ্ধে। এখন দেখার ভোটের প্রচার থেকে শুরু করে গোটা ভোট প্রক্রিয়া কোভিড বিধি মেনে কি ভাবে সম্পন্ন করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।