সংবাদাতা,পূর্ব বর্ধমান:- শাসকদলের রক্তদান শিবিরে কোভিড বিধি শিকেয়। প্রায় চারশোজন রক্তদান শিবিরে জমায়েত। পুলিশ প্রশাসনের ধরপাকড়, কোভিড সচেতনতা নিয়ে পথে নেমেছে ফের পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী কোভিড বিধি মানতে কড়া নির্দেশিকা জারি করেছেন। কিন্তু তার দলই সেই নির্দেশের তোয়াক্কা না করেই দিব্যি লোকজন নিয়ে হৈ-হুল্লোড় করে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছে পূর্ব বর্ধমানের ১ নম্বর ব্লকে।
মঙ্গলবার বর্ধমানের দেওয়ানদিঘীর প্রীতিলতা মঞ্চে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয় ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে।সেখানে হাজির ছিলেন দুই বিধায়ক । বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশীথ মালিক ও জামালপুরের বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি অলোক মাঝি।
কিন্তু সরকারি নির্দেশিকা অমান্য করতেই যেন সকলে বদ্ধপরিকর। গত কয়েকদিনে জেলায় কোভিডের গ্রাফ ফের উদ্ধমুখী। গত তিনদিনে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দেড়শো ছুঁই ছুঁই। তবুও কেন এত জমায়েত! বিধায়ক নিশীথ মালিক বলেন, মানুষের আবেগ তো আর আটকানো যায় না। তাই এখানে এদিন তিনশো ইউনিট রক্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে।
প্রায় একই উত্তর জামালপুরের বিধায়ক অলোক মাঝির। তিনি বলেন, কোভিড বিধি মেনেই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। অথচ রাজ্য সরকারের নির্দেশিকায় পরিস্কার বলা আছে ৫০ জনের বেশি নিয়ে কোন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে না। বিধায়কের কথায় মানুষের আবেগ।আবেগ তো আটকানো যায় না।
রক্তদান শিবিরের পাশাপাশি পাত পেরে দুপুরে খাবারেরও আয়োজন করা হয়েছে রক্তদান শিবিরে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাস্তায় মাস্ক না পড়লে ধরপাকড় করা হচ্ছে জেলাজুড়ে। প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরা রীতিমত রাস্তায় নেমে সাধারণ মানুষজনকে করোনা সচেতনতার পাঠ দিচ্ছেন। কিন্তু শাসকদলের জনপ্রতিনিধিদের তাতে থোরাই কেয়ার।
কোভিড সংক্রমণ বাড়ায় দুয়ারে সরকারের শিবির বন্ধ করা হয়েছে। বিভিন্ন মেলার আয়োজনেও লাগাম টানা হয়েছে। কিন্তু শাসকদলের জনপ্রতিনিধিরা তা মানতে বাধ্য নন।জনপ্রতিনিধিরা কোভিড বিধি মানার সাফাই দিলেও দেখা যায় শিবিরে উপস্থিত অনেকেরই মুখে মাস্ক পর্যন্ত নেই। আর সামাজিক দূরত্ব সে তো অনেক দূরে।
বিজেপির জেলা সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র কটাক্ষ করে বলেন, শাসকদলই যদি সরকারি নির্দেশিকা লঙ্ঘন করে তাহলে কার কিছু বলার নেই।