নীলেশ দাস, আসানসোল :- মঙ্গলবার সকালে আসানসোলের(Asansol) হীরাপুর থানার রহমতনগরে এক ব্যক্তি খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায় (Asansol Local Khabar)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হীরাপুর থানার পুলিশ পৌঁছে ফয়জল ইমাম কে হাসপাতাল নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
জানা গেছে বচসার পর প্রতিবেশীকে গলায় ছুরি দিয়ে আঘাত করে আর এক প্রতিবেশী। ঘটনায় ফয়জল ইমাম নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের রহমত নগর চাবি মোড় এলাকায়। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায় (Asansol Local News)। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে উপস্থিত হয়। এই ঘটনায় সোনু নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে হিরাপুর থানার পুলিশ।
এক স্থানীয় বাসিন্দা সাজ্জাদ খান জানান, সকালে মোড়ের মাথায় দুই জনের মধ্যে বচসা শুরু হয়। আমরা চিৎকার শুনে এখানে আসি। এসে দেখি ওরা কথা কাটাকাটি করছে। তারপর হঠাৎ দেখি সোনু, ফয়জল ইমাম-কে মাটিতে ফেলে তার গলায় পা দিয়ে ছুটি বের করে গলায় ও পেটে চালিয়ে দেয়। সোনু নামের ছেলেটি এই ঘটনাটি ঘটিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
আহমাদুল্লাহ খান নামের এর এক প্রতিবেশী জানায়, যে ব্যক্তিটি মারা গিয়েছে সে খুব ভালো ব্যাক্তি ছিল। পাড়ার সবার সাথে ভালো সম্পর্ক ছিল। সোনু নামের অভিযুক্ত ব্যক্তিটির সম্পর্কে তিনি বলেন, ছেলেটি সাইকো আছে। এর আগেও ওই ছেলেটি দুবার দুজনের সাথে এরকম ঘটনা ঘটিয়েছে। এর আগেও পুলিশ তাকে এরকম ঘটনার জন্য গ্রেপ্তার করেছে। কিছুদিন আগেই অভিযুক্ত ছেলেটি ছাড়া পেয়েছে। তিনি আরো জানান, এরা দুজনে প্রতিবেশী। তবে এদের মধ্যে কোনো শত্রুতা ছিল না।
মৃত ব্যাক্তি ফয়জল ইমাম এর জামাই আকবর আলী জানান, আমি ঠিক জানি না কি হয়েছিল। আমি দোকানে বসে ছিলাম তখন আমার কাছে ফোন আসে যে তোমার শশুরকে কেউ মেরে দিয়েছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে সেখানে গিয়ে আমার শশুরকে হাসপাতালে নিয়ে আসলাম। রাস্তাতেই তিনি মারা যান। তিনি আরো বলেন, অভিযুক্ত সোনু নামের ছেলেটি নেশার করতো, আর এই ঘটনাটি সে নেশার মধ্যেই করেছে। এখন ছেলেটি পুলিশের হেফাজতে আছে।
এই প্রসঙ্গে ডিসি ওয়েস্ট অভিষেক মোদি জানান, সম্ভবত পুরোনো শত্রুতার জেরে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে বচসা বাঁধে। তার পরে ছুরি দিয়ে সোনু নামক এক ব্যাক্তি তারই প্রতিবেশী ফয়জল ইমাম নামক এক ব্যাক্তিকে গলায় এবং পেটে আঘাত করে। তারপর তাকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। অভিযুক্ত সোনু নামের যুবকটি থানায় আত্মসমর্পণ করে। এখন সোনু নামক ব্যাক্তিটি পুলিশি হেফাজতে রয়েছে বলে জানান তিনি।