শুভময় পাত্র ,বীরভূম:- শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলা হোক বা নাই হোক, কিন্তু ৭ ই পৌষ যথার্থ মর্যাদাই উদযাপন করবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এখানেও রয়েছে বিতর্ক। ৭ পৌষ ব্রহ্ম মন্দিরের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন ছাতিমতলা যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিশ্বভারতী তাতে আশ্রমিক ও প্রাক্তনীদের প্রবেশাধিকার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শান্তিনিকেতনে পৌষমেলা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও পৌষ উৎসব নিয়ে কিন্তু যথেষ্ট উদ্যোগী বিশ্বভারতী কতৃপক্ষ।
গত বছর অতিমারীর কারণে বন্ধ ছিল পৌষমেলা। এ বছর সেই মেলা হবে কিনা সেই নিয়ে যথেচ্ছ টানাপোড়েন এর পর বিশ্বভারতী জানিয়ে দেয় এবছর ও মেলা করবেনা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। কিন্তু প্রতি বারের মতো এবার ও প্রথা মেনে ৭ই পৌষ দিনটিতে পৌষ উৎসবের আয়োজন চলছে জোর কদমে।
১৮৯১ সাল থেকে শুরু হওয়া এই প্রথা একই ভাবে পালন করে চলেছে শান্তিনিকেতন, সেজে উঠছে প্রাঙ্গন। কিন্তু আশ্রমিক তথা প্রাক্তন ছাত্র দের ক্ষোভের কারণ হলো সেই উৎসব এ প্রবেশ এর অনুমতি নেই তাদের। পৌষ মেলার সাথে জড়িয়ে আছে বহু বছরের ঐতিহ্য ও বোলপুর বাসীর আবেগ, এর সাথে জড়িয়ে আছে বোলপুর তথা শান্তিনিকেতন এর সম্পূর্ণ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি।
স্থানীয় হোটেল মালিক থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী সকলেই সারা বছর অপেক্ষায় থাকে এই পৌষমেলার। তাই এবার বিকল্প পৌষমেলার আয়োজন করতে উদ্যোগী হয়েছিল বোলপুর পৌরসভা তথা বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ। সেই মতো আগামী ৭ই পৌষ বোলপুর ডাকবাংলো মাঠে শুরু হতে চলেছে এই মেলা।
আরো পড়ুন:- একাধিক দাবিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দপ্তরে ডেপুটেশন দিলেন আশাকর্মীরা
মেলার প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্বে। প্রায় দু - বছর পর মেলার জন্য যথেষ্ট উৎসাহী বোলপুর বাসী তথা মেলায় আগত সব দোকান মালিকরা।ইতিমধ্যেই ৮০০-১০০০ স্টল নিয়ে সেজে উঠেছে মেলাপ্রাঙ্গন। শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সকলে।