তনুশ্রী চৌধুরী,কাঁকসা:- 'শহীদদের রক্ত তখনই ব্যর্থ হবে না যখনই আমি আপনি সবাই একটাই গ্রুপ থাকবে। যখন সবার উদ্দেশ্য থাকবে একটাই, রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে রাখতে হবে ক্ষমতায়। এতদিন যা সন্ত্রাস ছিল সেই সন্ত্রাসকে বন্ধ করতে হবে।' কাঁকসার বাসুদেবপুরে এসে এমনটাই বললেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিধান উপাধ্যায়।
রবিবার 12 ই ডিসেম্বর কাঁকসার বাসুদেবপুরে তৃণমূলের শহীদ দিবস অনুষ্ঠিত হলো। এদিন শহীদ দিবস উপলক্ষে এলাকাবাসীর আবেদনে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কাঁকসার বিদবিহার অঞ্চলের চার শহীদের আবক্ষ মূর্তি উন্মোচন করা হল।
কাঁকসার তৃণমূল কর্মী শংকর ঘোষ অমর গোস্বামী নবগোপাল ডোম, এবং লক্ষীনারায়ন ঘোষের আবক্ষ মূর্তি উন্মোচন করেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিধান উপাধ্যায়, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গোলসি বিধানসভার বিধায়ক নেপাল ঘরুই,জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি সমীর বিশ্বাস, কাঁকসা ব্লকে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি দেবদাস বক্সী, দুর্গাপুর পূর্বের বিধায়ক প্রদীপ মজুমদার সহ কাকসা ব্লক এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা।
এদিন ৪ তৃণমূল কর্মীর আবক্ষ মূর্তি উন্মোচন করার পর মূর্তি গুলিতে মাল্যদান করে তাদের শ্রদ্ধা জানান তৃনমূলের কর্মী-সমর্থকরা ও জেলা নেতৃত্ব।কাঁকসা ব্লকে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি দেবদাস বক্সী জানিয়েছেন ১৯৯৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে একাধিক তৃণমূল কর্মী খুন হয়েছেন কাঁকসায় সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে।
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে কাঁকসা ব্লকে শহীদ দিবস পালন হয়ে আসছে ১২ ডিসেম্বর থেকে। দীর্ঘদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে এই অনুষ্ঠান পালন করেন তৃণমূল কর্মীরা। তবে এ বছর বাসুদেবপুর গ্রামের মানুষ আবেদন করেছিলেন তৃণমূলের চার জন শহীদের মূর্তি বসানো হোক গ্রামে। এলাকাবাসীর আবেদনে তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাই ৪ তৃণমূল কর্মীর মূর্তি উন্মোচন করা হল আজ।
এদিন সভা মঞ্চ থেকে বিধান উপাধ্যায় বলেন সকলকে একযোগে কাজ করার আহবান করেন। সবাই একযোগে কাজ করলে আগামী দিনেও রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন এবং তৃণমূল ক্ষমতায় থাকবে। ১৯৯৮সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের ওপর যা ঘটেছে তা যাতে আর না হয় তার দায়িত্ব তৃণমূলের কর্মীদের। এই সময় প্রচুর তৃণমূল কর্মী খুন হয়েছেন।
দলের মধ্যে নানান ভুলভ্রান্তি থাকবে কারণ সংসার অনেক বড় হয়েছে তাই সংসারের যিনি অভিভাবক রয়েছেন বা দলের থেকে যিনি দায়িত্বে রয়েছেন তাকে সবাইকে নিয়ে একজোট ভাবে আগামী দিনে চলতে হবে।
পাশাপাশি এদিন সভা মঞ্চ থেকে সিপিআইএম এর উদ্যেশ্যে দুর্গাপুর পূর্বের বিধায়ক প্রদীপ মজুমদার বলেন 'শহীদ সভায় আসতে গিয়ে রাস্তায় তিনি দেখলেন সিপিআইএম এর পতাকা উড়ছে। যে দল গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে রেখেছিলো।একের পর এক তৃণমূল কর্মীদের খুন করেছিলো সেই দলের পতাকা এখনো বাসুদেবপুরে উড়ছে। তাতে তারা কোনো রকম বাধা দেন নি। এইটাই হলো মা মমতাময়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈশিষ্ট।'
'যারা গণযন্ত্র কে হত্যা করেছিলো তারাই আবার গত ২০১২১এর নির্বাচনের আগে দেওয়ালে লিখেছিল গণতন্ত্র কে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে বামেরা নাকি আবার প্রশাসনে ফিরতে চান। পশ্চিমবঙ্গ বাসী তাদের নিরস্ত্র করেছে। বিধানসভা নির্বাচনে শূন্যপদ।একটিও বিধায়ক বিধানসভায় পৌঁছাতে পারলো না। তারাই নাকি আবার স্বপ্ন দেখেছিলো রাজ্যে তারা নাকি আবার প্রশাসনে ফিরে আসবে।'