Type Here to Get Search Results !

ছাত্রছাত্রীদের স্কুলমুখী করতে শক্তিগড় গ্রামের পাড়ায় পাড়ায় যাচ্ছেন শিক্ষকরা গানের ডালি আর সুপরামর্শ নিয়ে



নিজস্ব প্রতিনিধি,পূর্ব বর্ধমান :- 'স্কুল শিক্ষকরা লকডাউনে বসে বসে মাইনে পেয়েছেন।' এই যখন কিছু লোকের প্রচার, তখন লকডাউনের পর বাস্তবের ময়াদানে নেমে গ্রামবাংলার অনেক শিক্ষক দেখছেন অনেক ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে যাবার আরা আগ্রহ নেই। এই কঠিন বাস্তবের সামনে দাঁড়িয়ে তারা হাল ছেড়ে দেননি। শক্তিগড় (Shaktigarh) গ্রামের পাড়ায় পাড়ায় যাচ্ছেন শিক্ষকরা গানের ডালি আর সুপরামর্শ নিয়ে। যাতে আবার স্কুলমুখো করা যায় স্কুলছুটদের।এখানকার বিধায়ক আবার স্কুল শিক্ষক। তিনিও সামিল এই উদ্যোগে।


গান দিয়ে দ্বার খোলাবার এই উদ্যোগে সকালেই বেজে উঠছে গান, 'এসো ভাই  সকলে ইস্কুলে যাই', জড়তা সংকোচ আতঙ্কের নেই বালাই ।'সাবধানে সংযমে যদি পা বাড়াই, মুখে মাস্ক, স্যানিটাইজার, একটু দূরত্ব রেখে যদি পা বাড়াই।'অথবা 'ওরে আয় -আয় তোরা ঘর হতে বের হয়ে , করোনা মুক্ত পৃথিবী গড়ব সাবধান হয়ে ।পড়েছি মাস্ক, ধুয়েছি সাবানে  হাত, স্যানিটাইজ করে সর্বত্র রেখেছি অন্যের সাথে দূরত্ব'।পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) শক্তিগড় গ্রামের এই গল্পের নায়ক নায়িকা শক্তিগড় সফদার হাসমি  হাইস্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকা রাই।


সঙ্গী বর্ধমান উত্তর বিধানসভার বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিক,(Nisith Kumar Malik) আরো আছেন বিডিও সুবর্ণা মজুমদার, সদরপূর্ব চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক শাহানারা খাতুন।রয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ ঘোষ।

আরো পড়ুন :- কখনো দেখেছেন কিক মেরে জিপ স্টার্ট দিতে ? দেখুন ভিডিও 

কোভিড সংক্রমণের সময়ে গ্রামের ছাত্রছাত্রীরা পড়ার সুযোগে সেভাবে পায়নি। নভেম্বরে স্কুল খুলতেই দেখা যায়, অনেকেই আর আসতে চাইছে না। বিধায়ক জানান, করোনার পর স্কুল খুললেও নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত কিছু শিক্ষার্থী বিভিন্ন কারণে স্কুলগামী হচ্ছিল না। তাদের আবার ফিরিয়ে আনতে হবে  মূলস্রোতে।  বিডিও জানান, এই উদ্যোগের মধ্য দিয়েই স্কুলছুটরা আবার ফিরে আসবে, এটাই তাদের প্রয়াস।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad