নিজস্ব প্রতিনিধি,পূর্ব বর্ধমান:- রাইস মিলের জলে ক্ষতিগ্রস্ত ধান চাষিদের মাথায় হাত। পূর্ববর্ধমানের খণ্ডঘোষ এলাকায় পরিদর্শনে গেলেন বিধায়ক অলোক মাঝি ।রাইস মিলের পরিত্যক্ত জলে খণ্ডঘোষ এলাকার শংকরপুর মৌজা বলাবাটি মৌজা এবং আরিন মৌজা মিলিয়ে মোট তিনটি মৌজার প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ বিঘে ধান জমি জলে ডুবে গেছে। বুধবার সকাল ১০ টা নাগাদ ওই তিন মৌজার চাষিরা রাইস মিলের গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখান।তারা অবিলম্বে ধানের ক্ষতিপূরণের দাবী করেন ।
বিক্ষোভের খবর শুনে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি তথা জামালপুর বিধানসভার বিধায়ক অলোক মাঝি ছুটে যান এবং বিক্ষোভকারীদের সামাল দেন। অলোক মাঝি বলেন রাইস মিলের পরিত্যক্ত জলে প্রায় প্রতিবছরই অল্পবিস্তর চাষীদের জমির ধান ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কিন্তু এই বছর অকাল বর্ষণে ক্ষতি হয়েছে এলাকার ধান জমির। চাষিরা কৈয়ড় গ্রাম পঞ্চায়েতে বিষয়টি লিখিত জানান এবং সেই বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কৈয়ড় গ্রাম পঞ্চায়েত।
এলাকায় ১৫ থেকে ২০ টি রাইস মিল আছে। তাদের পরিত্যক্ত জলেই এলাকার চাষীদের ধান নষ্ট হয়ে গেছে। রাইস মিলের পরিত্যক্ত জল নয়নজুলির ওপর দিয়ে বয়ে যায়। কিন্তু নয়ানজুলি ভর্তি হয়ে থাকে রাইস মিলের আগরা ও পাঁশের জন্য। রাইস মিলের মালিকরা অধিকাংশ সময়ই নয়নজুলি পরিষ্কার করে না। ফলস্বরূপ রাইস মিলের পরিত্যক্ত জল ধান জমির ওপর দিতে বয়ে যায় ।
যদিও বৃহস্পতিবার রাইস মিলের পক্ষ থেকে জেসিবি দিয়ে নয়নজুলি পরিষ্কার করার কাজ শুরু করা হয়েছে । বেশিরভাগই ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা গোবিন্দভোগ ধান চাষ করেছেন। চাষিরা আবেদন করেছেন ক্ষতিপূরণের জন্য। বিষয়টি রাইস মিলের সঙ্গে আলোচনা করে চাষীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা হবে বলে জানান বিধায়ক ।
আরো পড়ুন:- লাগাতার চুরি ঠেকাতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করল বর্ধমান থানার পুলিশ
বৃহস্পতিবার বিক্ষোভকারী চাষীদের নিয়ে আলোক মাঝি ক্ষতিগ্রস্ত জমি পরিদর্শন করেন। সঙ্গে ছিলেন কৈয়ড় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শাজাহান মণ্ডল।