নিজস্ব প্রতিনিধি, পূর্ব বর্ধমান:- লাগাতার চুরি ঠেকাতে অন্য পন্থায় বর্ধমান থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর বর্ধমান শহরের উপকন্ঠে কেষ্টপুর এলাকায় প্রচার চালান হল পুলিশের পক্ষ থেকে। বাড়ির মালিকদের সব ভাড়াটিয়াদের পরিচয় জানাতে বলা হল।
গত ছ'মাস ধরে বর্ধমান শহরে চুরিতে বিরাম নেই। একের পর এক গৃহস্থ বাড়িতে সব ফাঁক করে গেছে চোরেরা। গৃহকর্তা কোথায় একদিন বা একবেলার জন্য বাইরে গিয়েছেন।ফিরে এসে দেখেছেন টাকা পয়সা গহনা সব লোপাট। বয়স্ক মানুষদের অসতর্কতার সুযোগে সব কিছু নিয়ে পিটটান দিচ্ছে চোরেরা। পাড়ায় পাড়ায় বাড়ছে নিশিকুটুম্বদের উপদ্রব। এমনকি সরকারি আবাসনেও থাবা বসিয়েছে চোরেরা।
স্বাভাবিকভাবেই এ নিয়ে জেরবার পুলিশ। জনমানসে প্রশ্ন জাগছে। কয়েকদিন আগে একটি অ্যাপ তৈরির ভাবনা শোনা গিয়েছিল।গতকাল একটি চুরির কিনারা করেছে পুলিশই। আজ সচেতনতার পাঠ শেখাতে কেষ্টপুরে দুয়ারে পুলিশ।
স্বয়ং আই সি সুখময় চক্রবর্তী এই অভিযানে ছিলেন। তিনিই ঘোষক।মাইকিং করে সবাইকে পুলিশ তাদের কর্তব্য জানাল।জানান হয়েছে, আজ থেকে তিনদিনের মধ্যে থানা থেকে একটি ফর্ম আনতে হবে। এই ফর্মের কোনো মূল্য লাগবে না।
এরপর প্রতি ভাড়াটিয়ার আধার কার্ড বা ভোটার কার্ড সহ অন্যান্য পরিচয়পত্র তার সাথে জমা করতে হবে।একই ভাবে বাড়ির মালিকেরও সব তথ্য দিতে হবে। পুলিশ খতিয়ে দেখবে এদের কারো নামে কোনো ক্রাইম রেকর্ড আছে কী না। নতুন ভাড়াটিয়া বসাবার আগে এই ফর্ম জমা দিয়ে থানার অনুমতি নিতে হবে।
আরো পড়ুন:-দু'মাস ধরে পানীয় জল না মেলায় ক্ষোভ পূর্ব বর্ধমানের ভাতার ব্লকের বেলেন্ডা গ্রামের বাসিন্দাদের
এতে দুপক্ষই সুরক্ষিত থাকবে বলে মনে করছে পুলিশ।সুরক্ষিত থাকবেন অন্য বাসিন্দারাও।'চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে' বলে একটা কথা প্রচলিত আছে।এবার চোর আসার আগেই সজাগ থাকতে আর রাখতে চায় পুলিশ।